তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পূর্ব এশিয়ায়। জাপান তাইওয়ানের কাছের একটি দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট বসানোর পরিকল্পনা করছে। এই খবরে চীন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বেইজিংয়ের ভাষ্য, জাপান যদি সামান্যও সীমা লঙ্ঘন করে, তবে ‘বেদনাদায়ক মূল্য’ দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং বিন বলেন, তাইওয়ান পুরোপুরি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে জাপানের কোনো ভূমিকা নেই। তার অভিযোগ, জাপান অতীতের আগ্রাসন ও ঔপনিবেশিক শাসনের জন্য অনুতাপ দেখানোর বদলে এখন উল্টো তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক হস্তক্ষেপের স্বপ্ন দেখছে।
সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেন, চীন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায়, তবে তা টোকিওর সামরিক প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে। এরপরই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি জানান, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরের ইয়োনাগুনি দ্বীপে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর কাজ ‘পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে’।
চীন এ পদক্ষেপে স্পষ্ট অসন্তোষ জানিয়ে বলেছে, চীনা সেনাবাহিনী (পিপলস লিবারেশন আর্মি) দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় ‘প্রতিটি আগ্রাসন’ মোকাবিলার সক্ষমতা রাখে।
তবে তাইওয়ানের অবস্থান ভিন্ন। দ্বীপটির গণতান্ত্রিক সরকার বলছে, তারা স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রাখে। বেইজিংয়ের ভূখণ্ড দাবিকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।
চলতি সপ্তাহে তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তেও বিগত আট বছরের তুলনায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। চীন একে অযথা অপচয় বলে সমালোচনা করলেও তাইওয়ানের দাবি, চীনের সামরিক ব্যয় তাদের তুলনায় বহু গুণ বেশি।
তাইপের বক্তব্য, চীন যদি শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাইত, তবে এই বিপুল অর্থ জনগণের উন্নয়নে ব্যবহার করা যেত।
এদিকে প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ানের চারপাশের জলসীমা ও আকাশপথে চীনের সামরিক উপস্থিতি দেখা যায়, যা তাইপের ভাষায় ‘চাপ ও হয়রানির কৌশল’।
বিডিপ্রতিদিন