বিজেপি জমানায় আধুনিক ভারতের ইতিহাস বিনির্মাণের নবতম কোপ পড়েছে মোগল সম্রাট আকবর ও মহীশুরের শাসক টিপু সুলতানের ওপর। ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ (এনসিইআরটি) অনুমোদিত স্কুলশিক্ষার নতুন পাঠ্যপুস্তক থেকে আকবর ও টিপু সুলতানের জন্য ব্যবহৃত বহু প্রচলিত বিশেষণ ‘গ্রেট’ বাতিল করা হয়েছে। ওই দুজন এবার থেকে আর ‘মহান’ নন।
এ নিয়ে যথারীতি চাপানউতর শুরু হয়েছে দেশের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের। অরাজনৈতিক ইতিহাসবিদেরাও আসরে নেমেছেন। পানাপুকুরে ঢিল ছুড়লে বৃত্তাকার তরঙ্গ সৃষ্টির মতো কিছুটা হইচই হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কালের নিয়মে অচিরেই তা মিলিয়ে যাবে। আগেও তেমনই হয়েছে। তাতে নতুন ইতিহাস তৈরি বা ইতিহাসের নতুন আখ্যান রচনার চেষ্টা থমকাবে না। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) ও বিজেপির যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহতই থাকবে। ১১ বছর ধরে যে লক্ষ্যে হিন্দুত্ববাদীরা অটল। অবিচল।
নরেন্দ্র মোদির পর আনন্দীবেন প্যাটেল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সংঘের নেতা দীননাথ বাটরার লেখা বই স্কুল পাঠ্যসূচিতে ঢোকানো হয় রাজ্যের ৩৫ হাজার বিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য।
মোদি জমানার শুরু ও শিক্ষা সংস্কার
নরেন্দ্র মোদি দেশের ক্ষমতায় বসেছিলেন ২০১৪ সালে। ক্ষমতাসীন হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে টানা সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন সংঘের নেতারা। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে স্মৃতি ইরানির সঙ্গে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলের মতো শীর্ষ সংঘ কর্তা ও শিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত নেতারা।
সেই বৈঠকেই স্মৃতি ইরানিকে পাখি পড়ানোর মতো বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কেন তাঁরা শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল সংস্করণ চান। ঔপনিবেশিক মূল্যবোধের জায়গায় জাগিয়ে তুলতে চান ভারতের সনাতন মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন এনে ভারতীয়ত্বের ওপর জোর দিতে চান। বদল ঘটাতে চান প্রচলিত ইতিহাস চেতনার।

নরেন্দ্র মোদির পর আনন্দীবেন প্যাটেল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সংঘের নেতা দীননাথ বাটরার লেখা বই স্কুল পাঠ্যসূচিতে ঢোকানো হয় রাজ্যের ৩৫ হাজার বিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য। ওই দীননাথের রুজু করা মামলার কারণেই মার্কিন ইন্ডোলজিস্ট ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় ইতিহাসের অধ্যাপক ওয়েন্ডি ডনিগারের লেখা ‘দ্য হিন্দুস: অ্যান অলটারনেটিভ হিস্ট্রি’ বইটি ভারতের বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল।
স্মৃতি ইরানির সঙ্গে দেখা করে সেই দীননাথ বাটরা বলেছিলেন, মন্ত্রীকে অচিরেই দুটি কাজ করতে হবে। এনসিইআরটির পরিচালন পরিষদ বাতিল করে নতুন লোকদের আনতে হবে এবং স্কুলশিক্ষার পাঠ্যসূচি বদলাতে হবে।
স্মৃতি ইরানির হাত ধরে শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তনের বাতাস সেই যে বইতে শুরু করেছে, আজও তা থামেনি। প্রথম প্রথম প্রতিরোধ এসেছিল। তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু মোদির সাম্রাজ্য যত প্রসারিত হয়েছে, সেই সব প্রতিরোধও ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়েছে। এখন যা আছে, যতটুকু আছে তা ঔপচারিকতা মাত্র। প্রতিক্রিয়া ঢিল পড়া পানাপুকুরে বৃত্তাকার তরঙ্গ সৃষ্টির মতোই ক্ষণস্থায়ী।
স্থান মাহাত্ম্যে হাত দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি দখল করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনব্যবস্থা কুক্ষিগত করা হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা বিশেষভাবে যত্নবান। হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদী চেতনাসর্বস্ব স্বধর্মীয় লোকজনে ভরে গেছে প্রতিটি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বদলের হাওয়া সুদূরপ্রসারী ও সর্বব্যাপী
বিজেপি ও সংঘ পরিবার আদর্শ অনুযায়ী কাজ করে এবং কখনো তারা থেমে থাকে না। অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের পার্থক্য এটাই। অন্যরা রাজনীতি করে ভোটে জেতার জন্য, বিজেপির রাজনীতির লক্ষ্য ক্ষমতালাভের সঙ্গে মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা। সেই কারণে শুধু কুর্সি দখলে তারা থেমে থাকে না। ২০১৪ সালে নিজের ক্ষমতায় সরকার গঠন নরেন্দ্র মোদিকে বিরাট সুবিধার সামনে দাঁড় করায়।
অটল বিহারি বাজপেয়ী বা লালকৃষ্ণ আদভানিদের মতো রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বেড়ি মোদিকে পায়ে পরতে হয়নি। শরিকদের মন জুগিয়ে চলতে হয়নি। কালক্ষেপণ না করে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়েছেন লক্ষ্য ছোঁয়ার জন্য। ধর্মের আধারে সামাজিক বিভাজন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বদলানো শুরু হয় মোগল নামাঙ্কিত জনপদ ও স্থাপনার।
মোগলসরাই রেলস্টেশনের নাম বদলে রাখা হয় হিন্দুত্ববাদী চিন্তাবিদ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামে। এলাহাবাদ শহরের নাম বদলে হয় প্রয়াগরাজ। আওরঙ্গবাদ হয় শম্ভুজিনগর। ফৈজাবাদ জেলার নাম হয়ে যায় অযোধ্যা। হায়দরাবাদের নাম বদলে ‘ভাগ্যনগর’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সারা দেশের প্রায় সর্বত্র বহু এলাকা, জনপদ, রাস্তা, রেলস্টেশন ও স্থাপনার নাম বদলে গেছে। সবচেয়ে বেশি কোপ পড়েছে মোগল আমল বা মুসলিম ইতিহাসের সঙ্গে বিজড়িতদের। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মোগল গার্ডেন্সও’ অস্তিত্বরক্ষা করতে পারেনি। তার নতুন নাম ‘অমৃত উদ্যান’।

স্থান মাহাত্ম্যে হাত দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি দখল করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনব্যবস্থা কুক্ষিগত করা হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা বিশেষভাবে যত্নবান। হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদী চেতনাসর্বস্ব স্বধর্মীয় লোকজনে ভরে গেছে প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিক সংস্থাগুলো। প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিচারব্যবস্থাও। এই মুহূর্তে বিরোধী আক্রমণের লক্ষ্য নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দখলদারি মনোভাব এতটাই চূড়ান্ত যে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ রোমিলা থাপারের মতো ইতিহাসবিদকে পর্যন্ত চিঠি দেয় তাঁর শিক্ষা, পেশাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ (সিভি) কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে বলেছে, যাতে তাঁরা বিবেচনা করে দেখতে পারেন তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপকের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য কি না! স্কুলশিক্ষায় ইতিহাস বদল এই সার্বিক প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।
‘অস্বস্তিকর’ মোগল ইতিহাস মুছে দেওয়ার পাশাপাশি বড় করে জোড়া হয়েছে জরুরি অবস্থা জারি, যা নতুন পাঠ্যসূচিতে বিধৃত হয়েছে ‘গণতন্ত্রের কলঙ্ক’ হিসেবে। গুজরাট দাঙ্গা মুছে দিয়ে ঢোকানো হয়েছে ইন্দিরা হত্যার পর দিল্লির দাঙ্গা।
সিলেবাস বদল, কোপ মোগল আমলে
মোদি জমানা শুরুর পর স্কুল সিলেবাসে বদল ঘটানোর এটি চতুর্থ পর্ব। ২০১৪, ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও এই বদলের কোপ বেশি পড়েছিল ইসলামি ইতিহাসের ওপর। বিভিন্ন শ্রেণির ইতিহাসের বইয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে মোগলদের ওপর লেখা একটি সম্পূর্ণ অধ্যায়। বাদ দেওয়া হয়েছে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর হিন্দু–মুসলমান ঐক্য প্রচেষ্টার আলোচনা।
গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ব্রাক্ষ্মণত্য, তাঁর সমালোচনা, আরএসএসের ওপর আনা নিষেধাজ্ঞার অধ্যায় যেমন ইতিহাস পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তেমনই মুছে দেওয়া হয়েছে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গাও।

মোগলদের ওপর লেখা অধ্যায় মুছে ফেলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বিজেপি ও আরএসএস দেশব্যাপী যে প্রচার চালিয়েছিল, তাতে মোগলরা হয়ে উঠেছিলেন খলনায়ক।
দিল্লি বিজেপির সাংসদ কপিল মিশ্র ওই সিদ্ধান্তকে ‘মহান’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, মোগলদের ইতিহাস ‘মিথ্যাচারিতা’ ছাড়া কিছু নয়। তাঁর দৃষ্টিতে ‘চোরচোট্টা, লুটেরারা এত দিন মহান সম্রাট সেজে থেকেছেন। বাবর, আকবর, শাহজাহান, আওরঙ্গজেবের স্থান ইতিহাসের বইয়ে নয়, ডাস্টবিনে।’
‘অস্বস্তিকর’ মোগল ইতিহাস মুছে দেওয়ার পাশাপাশি বড় করে জোড়া হয়েছে জরুরি অবস্থা জারি, যা নতুন পাঠ্যসূচিতে বিধৃত হয়েছে ‘গণতন্ত্রের কলঙ্ক’ হিসেবে। গুজরাট দাঙ্গা মুছে দিয়ে ঢোকানো হয়েছে ইন্দিরা হত্যার পর দিল্লির দাঙ্গা।
বিজেপিশাসিত মহারাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষা পর্ষদ ইতিহাস পাঠ্যবই থেকে মোগল পর্ব পুরো ছেঁটে দিয়ে যোগ করেছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের বীরগাথা। সেই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে জরুরি অবস্থা ও বোফর্স কেলেঙ্কারির মতো বিতর্কিত অধ্যায়।

হিন্দুত্ববাদী যুক্তি যেখানে হেরে যায়
এভাবে জবরদস্তি ইতিহাস বদলের প্রচেষ্টা কতখানি হাস্যকর ও অবাস্তব, ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার এক আলোচনাসভায় তা তুলে ধরেছিলেন।
রোমিলা বলেছিলেন, ১৫৭৬ সালে মরুরাজ্য রাজস্থানের হলদিঘাটে যুদ্ধ হয়েছিল মোগল সম্রাট আকবরের সঙ্গে মেওয়ারের মহারাণা প্রতাপের। সেই যুদ্ধে মোগলদের সেনাপতি ছিলেন রাজা মান সিং। আর, রাণা প্রতাপের সেনাপতি ছিলেন হাকিম খান সুর। তাহলে কি সেটা হিন্দু–মুসলিমের যুদ্ধ বলা যাবে? কিংবা আওরঙ্গজেব–শিবাজি যুদ্ধ। আরঙ্গজেবের প্রধান সেনাপতি ছিলেন জয়সিং, শিবাজির সেনাপতি মৌলভি হায়দর আলি কোহরি। এই লড়াইও কি তাহলে হিন্দু–মুসলিমের যুদ্ধ বলা যায়?
ইতিহাস এমনই। মারাঠারা আক্রমণ করেছিল মহীশূরে টিপু সুলতানের রাজ্য। সেই হামলায় ধ্বংস হয়েছিল টিপু রাজ্যের অগুনতি হিন্দু মন্দির। সেই সব মন্দির পুনর্গঠনে জগৎগুরু শঙ্করাচার্যকে সাহায্য করেছিলেন টিপু।
হিন্দুত্ববাদীদের কাছে এসব ঘটনার কোনো জবাব নেই। তাঁদের চোখে রোমিলা থাপারের মতো ইতিহাসবিদেরা সনাতনবিরোধী ব্রিটিশ ঘরানার প্রোডাক্ট। দৃষ্টিহীন। কর্নাটকে বিজেপির সভাপতি থাকাকালে নলিন কাতিলের সদর্প ঘোষণা ছিল, টিপু সুলতানের ‘বংশধরদের’ (পড়ুন মুসলিমদের) কর্নাটকে থাকার অধিকার নেই। তিনি টিপুর অত্যুৎসাহী অনুসারীদের হত্যা করার নিদান দিয়েছিলেন।
দিল্লিতে ‘জি ২০’ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে মোদি সরকার প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া: মাদার অব ডেমোক্রেসি’ গ্রন্থে শাসক হিসেবে আকবরের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সুশাসন সেটাই যেখানে ধর্ম নির্বিশেষে সবার মঙ্গল হয়। কল্যাণ হয়। তৃতীয় মোগল সম্রাট আকবর সেই গণতন্ত্রেরই চর্চা করে গেছেন।
লোকদেখানো দ্বিচারিতা
হিন্দুত্ববাদের প্রসারে মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে লাগামহীন প্রচার সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সরকারের দ্বিচারিতার নমুনা বড়ই প্রকট। আজ যাঁর নামের পাশ থেকে ‘মহামতি’ বা ‘গ্রেট’ শব্দাবলি মুছে দেওয়া হচ্ছে, সেই মোগল সম্রাট আকবরকেই কিন্তু এই সরকার মাথায় তুলে রেখেছিল বিদেশি অতিথিদের সামনে।
দিল্লিতে ‘জি ২০’ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে মোদি সরকার প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া: মাদার অব ডেমোক্রেসি’ গ্রন্থে শাসক হিসেবে আকবরের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘সুশাসন সেটাই যেখানে ধর্ম নির্বিশেষে সবার মঙ্গল হয়। কল্যাণ হয়। তৃতীয় মোগল সম্রাট আকবর সেই গণতন্ত্রেরই চর্চা করে গেছেন। তাঁর নীতি ছিল সুলহ–এ–কুল। অর্থাৎ সার্বজনীক শান্তি। সেই নীতি ছিল ধর্মীয় বৈষম্যবিরোধী।’
সেই গ্রন্থেই লেখা, আকবর এমন এক সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন যেখানে সৌহার্দ্য বিরাজমান। সে জন্যই তিনি প্রচলন করেছিলেন নতুন ধর্ম। দীন–ই–ইলাহি। নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা বর্গের চিন্তাশীল ব্যক্তিরা যাতে একসঙ্গে বসে তর্ক–বিতর্কে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন ইবাদতখানা। নবরত্ন সভা।
কিন্তু তাতে কী? সংঘ পরিবার ও বিজেপির হুকুমে স্কুল শিক্ষার পাঠ্যপুস্তকে আকবর ও টিপু সুলতান আর মোটেই ‘দ্য গ্রেট’ নন।