ভারতের দিল্লি অঞ্চলের গ্রেটার নয়ডার বেটা-২ এলাকা থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় এক বাংলাদেশির মরদেহ তাঁর ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই বাংলাদেশি ভারতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থী। তাঁর নাম শাহরিয়ার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শাহরিয়ার যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেটার মালিক তাঁদের খবর দেন। বাড়ির মালিক পুলিশকে বলেন, এক দিনের বেশি সময় ধরে ওই তরুণকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা লাশ দেখতে পান। গ্রেটার নয়ডা-১ সার্কেল অফিসার হেমন্ত উপাধ্যায় জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি।
বাড়ির মালিক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, শাহরিয়ার ওই বাসায় উঠেছিলেন রুপা নামের এক নারীর সঙ্গে। রুপা বিহারের বাসিন্দা। দুজনই নিজেদের বিবাহিত দাবি করে আট হাজার টাকা ভাড়ায় কক্ষটি নেন। তাঁরা ১৭ নভেম্বর সেখানে উঠেছিলেন। পুলিশ বলছে, রুপাকে সর্বশেষ ২১ নভেম্বর বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। বাড়ির মালিক জানান, সেই সন্ধ্যার পর থেকে শাহরিয়ারের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। রোববার জানালা দিয়ে তাকাতেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মৃত্যুর কারণ জানতে তাঁরা তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছেন। সার্কেল অফিসার উপাধ্যায় বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে।’