এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘদিনের প্রাতিষ্ঠানিক বাধা অবশেষে কাটতে চলেছে। তিনটি অধিদপ্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা আনতে উদ্যোগ নেওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার নিবন্ধিত প্রার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটতে পারে। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই এ সমতা কার্যকর করার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি এ সভার আহবান করে জানানো হয়েছে, যেখানে তিন অধিদপ্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা একত্রিকরণ করার বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, তিন শিক্ষা অধিদপ্তরের আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতার নিয়মের কারণে শিক্ষক নিয়োগ–সুপারিশে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে ষষ্ঠ দফার নিয়োগে অনেক প্রার্থী এই প্রাতিষ্ঠানিক বাধার কারণে সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হন। দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধিত প্রার্থীদের দাবি ছিল—সব অধিদপ্তরে একই শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য করা হোক।
সে দাবি বিবেচনায় নিয়ে এনটিআরসিএ বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে সমতার সুযোগ রাখে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ খসড়া চূড়ান্ত করেছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাধা তুলে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। তবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এখনও শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা চূড়ান্ত না করায় পাঁচ হাজারের মতো প্রার্থীর সুপারিশ আটকে আছে। বিষয়ভেদে যোগ্যতার পার্থক্যের কারণে এনটিআরসিএ এখনো তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারছে না।
এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ তাদের আওতাধীন স্কুল–কলেজ পর্যায়ের সব বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা সম্পন্ন করেছে। কিন্তু কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগে সমতা বিধান বিলম্বিত হওয়ায় পুরো নিয়োগ–প্রক্রিয়আ থমকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সেই আশঙ্কা দূর হচ্ছে। কপাল খুলতে যাচ্ছে ৫ হাজার নিবন্ধনধারীর।