Image description
 

ইসরায়েলসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৭ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে ইয়েমেন। দেশটিতে হুতি নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানার একটি বিশেষ অপরাধ আদালত এ রায় দিয়েছেন।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) হুতি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হুথি গণমাধ্যমের দাবি, অভিযুক্তরা মার্কিন, ইসরায়েলি ও সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করছিল। রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড সর্বসাধারণের সামনে কার্যকর করা হবে যাতে অন্যদের জন্য ‘উদাহরণ’ হিসেবে কাজ করে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মামলায় মোট ২০ জনকে বিচার করা হয়। তাদের মধ্যে এক নারী ও এক পুরুষকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং আরেক ব্যক্তিকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

 
 

হুথি গণমাধ্যম জানায়, মোসাদের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত ইয়েমেনি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন। তাদের দেওয়া তথ্যে ‘সামরিক, নিরাপত্তা ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এতে বহু মানুষ নিহত হয় এবং বড় ধরনের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

 

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর হুথিরা লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলমুখী জাহাজে আক্রমণ শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে যৌথ বিমান হামলা চালায়। তবে হুথিরা গত মাসের গাজায় যুদ্ধবিরতির পর এসব আক্রমণ স্থগিত রেখেছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলও গত এক বছরে ইয়েমেনে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে জ্বালানি মজুতাগার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, গুরুত্বপূর্ণ বন্দরসহ বহু স্থাপনা ধ্বংস হয় এবং অসংখ্য বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। এছাড়া গত আগস্টে হুথিরা নিশ্চিত করে যে, একটি ইসরায়েলি হামলায় তাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওই নিহত হন।