Image description

ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী মাহমুদ খলিল আমেরিকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ফিলিস্তিনবিরোধী কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে প্রশাসনের গোপন আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশের দাবিতে তিনি এই মামলা করেন। খলিলের অভিযোগ, এসব গোপন আলোচনা তার গ্রেপ্তার ও কারাবাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে যুক্ত থাকার কারণে চলতি বছরের শুরুতে খলিলকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো দাবি করেছেÑতারা প্রশাসনের কাছে খলিলসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছে এবং এ নিয়ে তারা প্রকাশ্যেই গর্ব করেছে।

খলিলের আইনি সহায়তাকারী সংস্থা সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর) জানায়, ওই সংগঠনগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ট্রাম্প প্রশাসন খলিলসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি কর্মকাণ্ডে যুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।

এক প্রতিবেদনে খলিল জানান, কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বেনামি ব্যক্তি ও সংগঠনের কাছ থেকে তিনি ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হয়েছেন। যারা তাকে নীরব থাকতে বলা হয়েছে। তার মতে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে যে প্রশাসনিক অভিযান চালানো হয়েছিল, তাতে কারা ভূমিকা রেখেছেÑতা সবার জানা উচিত।

সিসিআর জানায়, খলিল গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলপন্থি সংগঠন বেতার ইউএসএ দাবি করে যে তারা খলিলের বাসস্থানসহ বিস্তারিত তথ্য সরকারকে সরবরাহ করেছে। এর পরপরই ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি গ্রুপ এক্স-এ পোস্ট করে খলিলকে আমেরিকা থেকে নির্বাসনের আহ্বান জানায়। এর আগেও একই আহ্বান জানিয়েছিলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ওই গ্রুপের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য শাই ডেভিডাই।

সিসিআরের অ্যাটর্নি ও জাস্টিস ফেলো আদিনা মার্কস-আরপাদি বলেন, খলিলসহ গণহত্যা ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন, ফেডারেল সরকার ও এসব গোষ্ঠীর মধ্যে কী ধরনের যোগাযোগ বা সম্পর্ক রয়েছে তা তাদের জানার অধিকার রয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষেরও এ তথ্য জানার অধিকার আছে।