ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মারকোস জুনিয়রের বোন সিনেটর আইমি মারকোস। ভাই ফার্দিনান্দের সঙ্গে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন। বোন অভিযোগ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মারকোস বহুদিনের মাদকাসক্ত এবং কোকেইনের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে নেতৃত্বে দুর্বলতা ও দুর্নীতি তৈরি হয়েছে। তার এ দাবিকে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মারকোস প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এসব দাবি ভিত্তিহীন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। কমিউনিকেশনস আন্ডারসেক্রেটারি ক্লেয়ার ক্যাস্ত্রো বলেন, সিনেটর আইমি মারকোসের মন্তব্যগুলো ভিত্তিহীন এবং হয়তো সিনেটে তার মিত্রদের জড়িত করে চলমান দুর্নীতি কেলেঙ্কারির তদন্ত থেকে মনোযোগ সরানোর হতাশাজনিত চেষ্টা। তিনি বলেন, সিনেটর আইমি, আমি আশা করি আপনি দেশপ্রেম দেখাবেন এবং যে তদন্ত প্রেসিডেন্ট নিজেই করছেন তাতে সহযোগিতা করবেন এবং সব দুর্নীতিবাজের নিন্দা করবেন। তাদের পক্ষ নেবেন না, তাদের আড়াল করবেন না। প্রেসিডেন্ট মারকোসকে দুর্নীতি বন্ধ করতে কাজ করতে দিন।
মারকোস গঠিত একটি স্বাধীন অনুসন্ধান কমিশন, একটি সিনেট কমিটি এবং সরকারি সংস্থাগুলো তদন্ত করছে যে প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ও সিনেটররা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মাণ কোম্পানিগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ নিয়েছেন কি না। এসব প্রকল্প ছিল নিম্নমানের, অসম্পূর্ণ বা আদৌ নির্মিত হয়নি- যা বন্যা ও টাইফুনপ্রবণ দেশে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
সোমবার রাতে ম্যানিলার একটি পার্কে ধর্মীয় গোষ্ঠীর বড় সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় আইমি মারকোস দাবি করেন, তার ভাইয়ের মাদকাসক্তি তাদের বাবার (বর্তমান প্রেসিডেন্টের নামেরই জনক) ক্ষমতার সময় থেকেই শুরু, এবং এখনো চলছে। তিনি বলেন, এটি প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যে ও শাসনক্ষমতায় প্রভাব ফেলছে।
ভাই-বোন দু’জনই সাবেক একনায়ক ফার্দিনান্দ মারকোস সিনিয়রের সন্তান। তাকে ১৯৮৬ সালে গণঅভ্যুত্থানে উৎখাত করা হয়। আইমি আরও অভিযোগ করেন যে, বর্তমান প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ও সন্তানরাও মাদক ব্যবহার করেন। ২০২২ সালে ভাই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাদের মধ্যে প্রায় আর কোনো কথা হয় না। প্রেসিডেন্টের স্ত্রী লিজা মারকোস ও সন্তানরা, যাদের একজন সংসদেরও সদস্য এই বিষয়ে কিছু বলেননি।