Image description

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান মজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা। 

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মজিবর রহমান (৫০) ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা নয়াচর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।

তিনি ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঢাকা-২০ আসনের পলাতক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের অনুসারী। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মজিবর রহমান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় পল্লী চিকিৎসক পরিচয়ে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফার্মেসি পরিচালনা করেন।

 
পাশাপাশি সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকায় অন্তবর্তী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে তার অনুসারীদের দিয়ে ঝটিকা মিছিল, গাড়ি পোড়ানোসহ বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা ও নাশকতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরনগর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধামরাই ও আশুলিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, গুলি করে হত্যা, সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।

 
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার মজিবর রহমানকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।