Image description

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান গত মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল দেখতে জেগে ছিলেন। বিশেষভাবে নজর রেখেছেন নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের দিকে। সেখানে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট প্রার্থী ও অভিবাসী পরিবারের সন্তান জোহরান মামদানি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এ শহরের প্রথম মুসলিম মেয়রও।

নিউইয়র্কে এক মিলিয়নের (১০ লাখ) বেশি মানুষ জোহরান মামদানিকে ভোট দিয়েছেন। এ ফলাফল লন্ডনের আরেক মুসলিম মেয়র সাদিক খানের নিজের অভিজ্ঞতাকেই মনে করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, এটি ‘উদার, প্রগতিশীল ও বহু সাংস্কৃতিক’ রাজনীতির জয়। ভোটাররা ‘ভয় ও বিভক্তি’ উপেক্ষা করে সংখ্যালঘু ধর্ম ও জাতিগত সম্প্রদায়ের প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন।

গতকাল বুধবার এক সাক্ষাৎকারে এ কথাগুলো বলেন মেয়র সাদিক খান।

সাদিক খান রিও ডি জেনিরোতে আন্তর্জাতিক মেয়রদের সম্মেলন থেকে বলেন, মামদানির প্রচার ছিল ‘ভয়কে জয় করার ও বিভাজনের ওপর ঐক্য প্রতিষ্ঠার’ প্রতীক। তিনি অভিযোগ করেন, এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁর নীতির সমালোচনা করার বদলে ‘মুসলিমবিরোধী ঘৃণা’ ব্যবহার করেছেন।

সাদিক খান বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষরা আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এ জন্যই আমি লন্ডনের মানুষদের গর্বিত বলে মনে করি। তাঁরা বারবার আমাকে নির্বাচিত করেছেন। একইভাবে নিউইয়র্কের মানুষ জোহরানকে নির্বাচিত করেছেন।’

নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি ২০২৫ সালের নির্বাচনে জয়ের পর তাঁর সমর্থকদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিন
নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি ২০২৫ সালের নির্বাচনে জয়ের পর তাঁর সমর্থকদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। ৪ নভেম্বর ২০২৫, ব্রুকলিনছবি: রয়টার্স

সাদিক খান রিও ডি জেনিরোতে আন্তর্জাতিক মেয়রদের সম্মেলন থেকে বলেন, মামদানির প্রচার ছিল ‘ভয়কে জয় করার ও বিভাজনের ওপর ঐক্য প্রতিষ্ঠার’ প্রতীক। তিনি অভিযোগ করেন, এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁর নীতির সমালোচনা করার বদলে ‘মুসলিমবিরোধী ঘৃণা’ ব্যবহার করেছেন।

আমাদের প্রতিপক্ষরা আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এ জন্যই আমি লন্ডনের মানুষদের গর্বিত বলে মনে করি। তাঁরা বারবার আমাকে নির্বাচিত করেছেন। একইভাবে নিউইয়র্কের মানুষ জোহরানকে নির্বাচিত করেছেন।
সাদিক খান, লন্ডনের মেয়র

সাদিক খান আরও বলেন, লন্ডন ও নিউইয়র্কে সংখ্যালঘু মুসলিম প্রার্থীদের ভোট না দিতে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাঁকে ‘লন্ডনের মুসলিম মেয়র’ হিসেবে পরিচিত করা হলেও তিনি মনে করেন, ধর্ম ‘তাঁর রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক’ নয়।

লন্ডনের মেয়র বলেন, ‘আমি একজন মেয়র, মুসলিমও বটে। জোহরানও ঠিক তা–ই।’

আমি একজন মেয়র, মুসলিমও বটে। জোহরানও ঠিক তা–ই।

উল্লেখ্য, সাদিক খান নিজেকে সমাজতান্ত্রিক বলে মনে করেন না। তবে তিনি সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের একজন সমর্থক। এটি ইউরোপে প্রচলিত একটি মতবাদ ও শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থায় গুরুত্ব দেয়।

সাদিক খান বলেন, জোহরান মামদানির জয় এবং নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের জয় দেখাচ্ছে যে ‘প্রগতিশীলরা লড়াইয়ে ফিরছেন’ এবং এটি বিশ্বের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে।