Image description
 

পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব।  এ চুক্তি দুদেশের কয়েক দশকের পুরোনো নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে। 

 

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই চুক্তিটি উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার এবং অঞ্চল ও বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য তাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এর লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো এবং যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো একটি দেশের ওপর যে কোনো আগ্রাসনকে উভয় দেশের ওপর আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে।’

সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই প্রতিরক্ষা চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে ‘ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব’ এবং ‘অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ ও ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

তবে সৌদি-পাকিস্তানের এই চুক্তি নয়াদিল্লির জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটি বলছে, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের এই পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা খতিয়ে দেখবে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের খবর আমরা দেখেছি। এ ধরনের একটি উদ্যোগের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল, যা দুই দেশের দীর্ঘদিনের একটি অনানুষ্ঠানিক সমঝোতাকে এখন আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আমরা জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব খতিয়ে দেখব। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সর্বস্তরে সমন্বিত জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ভারত সরকারের অঙ্গীকার।

এর আগে সৌদি প্রাসাদ আল-ইয়ামামায় বৈঠকের পর পাকিস্তান ও সৌদি আরবের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় আট দশক ধরে চলে আসা ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতেই এই প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা ও যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।