
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আওন জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে আগ্রহী নয় লেবানন। তবে তিনি ভবিষ্যতে প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশা প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আওন বলেন, শান্তি মানে যুদ্ধের অবসান, আর এটাই এখন লেবাননের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু স্বাভাবিককরণ আপাতত লেবানের বৈদেশিক নীতির অংশ নয়।
সম্প্রতি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার-এর দেওয়া এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গিডিওন সার জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল লেবানন ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়।
প্রেসিডেন্ট আওন আরও বলেন, দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী পাঁচটি এলাকা এখনো ইসরায়েল দখলে রেখেছে। এই এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি লেবাননের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমান্ত পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে বাধা হয়ে আছে।
গত নভেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়েছিল, তার আওতায় ইসরায়েলকে পুরোপুরি দক্ষিণ লেবানন ছাড়ার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লিটানি নদীর উত্তরে সরে যেতে হবে এবং ওই এলাকায় কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে লেবাননকে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার আহ্বান জানানো হয়েছে। লেবানন এ আহ্বানের জবাব দিলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট আওন শুধু এটুকু জানান, দেশের অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। তবে এটি বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখার দিকটিও বিবেচনায় নেওয়া হবে। এতে ইঙ্গিত মিলেছে, হিজবুল্লাহকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নিরস্ত্র করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
উল্লেখ্য, ১৫ বছর স্থায়ী লেবাননের গৃহযুদ্ধের পর হিজবুল্লাহ একমাত্র গোষ্ঠী যারা অস্ত্র ধরে রেখেছে। তখনও দক্ষিণ লেবানন ইসরায়েলের দখলে ছিল। সম্প্রতি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে চলা উত্তেজনা এবং গত সেপ্টেম্বরের দুই মাসের যুদ্ধ হিজবুল্লাহর শক্তি অনেকটাই ক্ষয় করেছে।
সূত্র : আরব নিউজ