
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ফ্রান্স। দেশটি জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। তেহরানে তিন বছর ধরে আটক দুই ফরাসি নাগরিকের মুক্তির ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে আটক দুই ফরাসি নাগরিক সেসিল কোলার ও জ্যাক প্যারিসকে মুক্তি না দিলে তেহরানের বিরুদ্ধে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো এক বিবৃতিতে জানান, এই দুই নাগরিকের মুক্তি ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক।
ইরান এই দুই ফরাসি নাগরিকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ইরানি শাসনব্যবস্থা উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে ইরান সফরের সময় তাদের আটক করা হয়েছিল। বর্তমানে তারা তেহরানে বন্দি রয়েছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, গ্রেপ্তাররা নিজেদের আইনজীবীর সহায়তা পাচ্ছেন না। মে মাসে ফ্রান্স ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় তেহরানের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ও বেআইনি আটকের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো এই দুইজনকে রাষ্ট্রীয় জিম্মি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান কৌশলগতভাবে বিদেশিদের আটকে রেখে পশ্চিমা দেশগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। তবে ইরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারো বলেন, ইরানি শাসকদের আমরা বারবার জানিয়েছি— এই পরিস্থিতির সমাধান ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা আরোপ সম্পূর্ণভাবে এই ইস্যুর সমাধানের ওপর নির্ভর করছে।
বুধবার বারো পৃথকভাবে সতর্ক করে বলেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অধীনে স্ন্যাপব্যাক ব্যবস্থা চালু করতে পারে। ইরান তার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক প্রোগ্রামে কঠোর নিয়ন্ত্রণ মেনে না চললে এটি আরোপ করা হতে পারে।
তিনি লে মোঁদ পত্রিকাকে বলেন, একটি সাধারণ চিঠির মাধ্যমে আমরা ইরানের ওপর অস্ত্র, পারমাণবিক সরঞ্জাম, ব্যাংক এবং বিমার ওপর বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করতে পারি।