Image description

নির্বাসিত তিব্বতি আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা নিশ্চিত করেছেন, তার মৃত্যুর পর একজন উত্তরসূরি থাকছেন।  বুধবার (২ জুলাই) ভারতের ধর্মশালায় দালাই লামা লাইব্রেরি ও আর্কাইভ কেন্দ্রে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

আধ্যাত্মিক এই নেতা বলেন, আমি নিশ্চিত করছি যে দালাই লামা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।  তিনি স্পষ্ট করে জানান, তার গঠিত গাদেন ফোদ্রাং ট্রাস্ট এবং দালাই লামার দপ্তর উত্তরসূরি খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। এতে অন্য কারো হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। দালাই লামা বলেন, তার উত্তরসূরিকে চীনের বাইরে জন্মাতে হবে।

অবশ্য তার এই অবস্থান বেইজিং প্রত্যাখ্যান করেছে।  চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, দালাই লামার উত্তরসূরি বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় চীনের আইন, বিধিমালা এবং ঐতিহ্য অনুসরণ করতে হবে এবং বেইজিংয়ের অনুমোদন ছাড়া তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিব্বতি ঐতিহ্য অনুযায়ী, দালাই লামারা মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু তিব্বত চীনের দখলে থাকায়, উত্তরসূরি নির্ধারণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত বিতর্কিত।  

অনেক তিব্বতি দালাই লামার ঘোষণাকে স্বস্তির খবর হিসেবে দেখছেন। দিল্লি থেকে ধর্মশালায় আসা তিব্বতি ব্যবসায়ী গ্যাতসো বলেন, চীনের প্রচারণা আমাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল। কিন্তু আজ দালাই লামার ঘোষণায় সে শঙ্কা দূর হয়েছে।

লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টারের অধ্যাপক দিব্যেশ আনন্দ বলেন, চীন নিজস্ব অনুসারীদের মাধ্যমে কয়েক মাস বা বছর পর নতুন এক দালাই লামা ঘোষণা করবে। কিন্তু অধিকাংশ তিব্বতি এবং বিশ্বের মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করবে।

তিব্বতি নির্বাসিত সংসদের এমপি ইয়ুদোন আওকাতসাং বলেন, চীন বহু বছর ধরে তিব্বতি জনগণকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। চীনের মনোনীত দালাই লামাকে কেউই স্বীকৃতি দেবে না।