ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে হস্তানান্তর করেছে শিক্ষার্থীরা। তার নাম আব্দুল্লাহ আল সাদিক। তিনি ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে তিনি ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিতে হলে প্রবেশ করার পর আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করে। পরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। আর আন্দোলনের ছয় মাস বা এক বছর আগে কিছু জুলাইয়ের পক্ষে পোস্ট দিয়েছিলেন। শুধু এসব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি প্রক্টর অফিসেই মুচলেকা নিয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে।
জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এস এম শাহেদ ইমন জানান, সাদিক দীর্ঘদিন ধরে হলে নিষিদ্ধ থাকলেও তিনি নিয়ম ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। ৫ই আগস্টের আগে গেস্ট রুমে শিক্ষার্থীদের অত্যাচার, নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া কোটা আন্দোলনের সময় তিনি ছাত্রলীগের আন্দোলনে ছিলেন না বলে এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জিয়া হল সংসদের ভিপি মাহবুব তালুকদার বলেন, সাদিক ছাত্রলীগের আমলে গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের সাথে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করত। তাই হলে আসার খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে এবং প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তার কোনো সক্রিয় ভূমিকা পাওয়া যায়নি। জুলাই আন্দোলনের কয়েকমাস আগেই সে হল ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, জিয়া হল সংসদের ভিপি, জিএস আমাদের বিষয়টি অবহিত করেছে। পরে প্রক্টর অফিসে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গত শুক্র (২১ নভেম্বর) ও শনিবার (২২ নভেম্বর) মিলিয়ে কয়েক দফায় ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।