রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তাকারীর হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে তাদেরকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডার পর ট্রাফিক সহায়তাকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
আহতরা হলেন শিক্ষার্থী তালহা জুবায়ের প্রিয়ম, আলামিন হোসেন, সোহাইল, মোহন, মোসাব্বির ও চৈতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাফিক সহায়তাকারীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গালাগালা করছিলেন। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা দয়াগঞ্জ মোড়ে জড়ো হয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবিতে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে একজন অভিযুক্তকে বের করা হলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা তাঁকে মারধর করেন।
হামলার শিকার সিএসই বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তালহা জুবায়ের বলেন, আমাদের বাস দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিকে ছিল।
হামলার শিকার অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন বলেন, আমাকেসহ ৪/৫ জনকে তারা হামলা করে। কালো হুডি পরা এক ব্যক্তি পুলিশের লাঠি কেড়ে নিয়ে আমাদের মারধর করে। আমি, সোহান ভাই, সোহাইল, আলাআমিন, মিনু আপুসহ অনেকে হামলার শিকার হয়েছি। পুলিশ তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
জবি প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডিকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ওয়ারি জোনের ডিসি (উপ-পুলিশ কমিশনার) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় যারা যেভাবে অভিযুক্ত, তদন্তসাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।