ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মো. মহিউদ্দীন খান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য আসল ‘পরীক্ষা’ হবে ছুটির পর কেমন ‘সংস্কারকৃত’ আবাসন উপহার দিতে পারে সেটার ওপর। রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে মহিউদ্দীন লেখেন, ভূমিকম্প অনিশ্চিত দুর্যোগ। সবচেয়ে ভালো স্থাপনাও এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ স্থাপনা বিশেষত হলগুলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক স্থাপনা যে মানের হওয়া উচিত সেই মানের নয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মনে স্বাভাবিকের চাইতে বেশী ভয় থাকাটা শুধু স্বাভাবিকই নয় বরং যৌক্তিক।
তিনি লেখেন, ভূমিকম্পের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত বা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্বাগত জানিয়েছে। তবে একদিনের নোটিশে হল ছাড়ার নির্দেশনা আপাতদৃষ্টিতে ভালো মনে হলেও ফিজিবল না। আবেদনের ভিত্তিতে জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের হলে থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত। পরোক্ষ চাপ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা স্পষ্টত হঠকারিতা।
তিনি আরও লেখেন, আমরা হলগুলোর প্রভোস্টদের সাথে কথা বলছি, আশাকরি তারা মৌলিক সেবাগুলো সীমিত বা বন্ধ করবেন না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য আসল 'পরীক্ষা' হবে ছুটির পর কেমন 'সংস্কারকৃত' আবাসন উপহার দিতে পারে সেটার ওপর।