Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের ভিপি ইব্রাহিম রনি বলেছেন, যদি আমাদের বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের প্রধান চাহিদা কী? তাহলে আমরা বলব আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই, আমরা হলে একটা সিট চাই, আমাদের মিল ব্যবস্থায় ভরতুকি বৃদ্ধি চাই।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কাজি নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

ছাত্রশিবিরের পূর্ব ইতিহাসকে স্মরণ করে ভিপি ইব্রাহিম রনি বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল; সেই প্রোগ্রামকে ভন্ডুল করতে যারা সম্মিলিত আক্রমণ চালিয়েছিল এবং তাদের অপতৎপরতার কারণে শহীদ হয় আমাদের শহীদ ছাব্বির ভাই। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে যখন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সারাদেশ অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছিল; তখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর শহীদ শামসুজ্জোহা স্যারের অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ করছি। জুলাই-আগস্টের সকল শহীদকে গভীরভাবে স্মরণ করছি এবং যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছে তাদের জন্য দোয়া করছি। 

তিনি আরও বলেন, এত এত শিক্ষার্থী দেখে মনটা সত্যিই ভালো হয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার সম্পর্কটা গভীর। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও আমি এখানকারই ছেলে। কলেজ পর্যায় থেকেই আমি এ ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করার কারণে খুব পরিচিত হয়ে গেছিল সবকিছু। এ ক্যাম্পাসে তখন পড়ার সুযোগ হয়নি। রাজশাহী কলেজে কয়েকজন ছাত্রশিবিরকে চিনলে তার মধ্যে আমাকেও চিনত ছাত্রলীগ। 

ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয়তো ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একটা পরিস্থিতিতে এসেছি কিন্তু যেমন রাষ্ট্র, যেমন ক্যাম্পাস আমাদের প্রত্যাশা ছিল সেরকম ক্যাম্পাস এখনও পর্যন্ত আমরা বিনির্মাণ করতে পারিনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে আমরা দেখেছি মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে তারাই পরে এই ছাত্র সংগঠনগুলো বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে গেছে। আমরা প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু তারাই আমাদের কাজে আরও বাধা সৃষ্টি করছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনগুলো না রাষ্ট্রই আমাদেরকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। 

সর্বশেষ তিনি বলেন, আমাদের যদি বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের চাহিদা কী তাহলে আমরা বলব, আমরা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা চাই। আমাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় আমরা কী চাই? আমরা বলব হলে একটা সিট চাই, মিলের ভরতুকি বৃদ্ধি চাই, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। 

 

অনুষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এসময় আরও উপস্থিত ছিল ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।