Image description

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রদলের কিছু শিক্ষার্থী ও ড্রপআউটের বিরুদ্ধে চার কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় জড়িতরা হলেন- মারুফ (১৮–১৯ সেশন, ড্রপ আউট), মিজবাহ (১৫–১৬ সেশন), ফরহাদ (১৮ ব্যাচ, ড্রপ আউট; শেকৃবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক), দানিয়েল (১৬–১৭ সেশন, ড্রপ আউট; প্রশ্নফাঁস মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত), ফুয়াদ (২১ ব্যাচ; মাদকসেবনের অভিযোগে শোকজপ্রাপ্ত), মিরাজ (২১ ব্যাচ)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারুফ দীর্ঘদিন আগে ফেইল করে ছাত্রত্ব বাতিল হলেও অবৈধভাবে হলে সিট দখল করেছেন। নবীন শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদকসেবন ও বেচাকেনার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা আওয়ামী লীগপন্থী— এমন অভিযোগ তুলে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে  শারীরিকভাবে আঘাত ও অশালীন ভাষায় হেনস্তা করা হয়। পরে তারা চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, অবৈধ সিট পুনরুদ্ধার এবং মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিল তাদের বিরুদ্ধে আমরা এই অবস্থান নিয়েছি। ৫ আগষ্টের পর একবছর পরে এসে মারামারির বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল সুষ্ঠু বিচার করবে, কিন্তু এখনো বিচার করেনি।

শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি তাপশ বলেন, মারুফ, ফরহাদ সহ যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের বিষয়ে নানাধরনের অভিযোগ ইতোপূর্ব থেকেই ছিল। যদিও একসময়ে তারা ছাত্রদলের সঙ্গে চলাফেরা করতে তবে বহু পূর্ব থেকে তারা ছাত্রদলের ব্যানারের বাইরে গিয়ে নিজস্বস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে যা ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীকে মারধরের এই অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার কোনোভাবেই ছাত্রদল নিবে না বরং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পরামর্শ সাপেক্ষে এই বিষয়ে ছাত্রদল প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আরফান আলী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে মারুফ, মিজবাহ ও ফরহাদকে পাই। জিজ্ঞাসা করলে তারা দাবি করে ভুক্তভোগীরা নাকি আগে আওয়ামী লীগ করতেন। পরে তারা আরও কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। প্রশাসন এটি কোনোভাবেই হতে দেবে না। প্রয়োজন হলে পুলিশকে অবহিত করা হবে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।