Image description

বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ চলাকালে ‘খুব কাছ থেকেই’ সরোয়ারকে গুলি করে করা হয় বলে জানিয়েছেন তার বাবা।

আর তার বড় ভাই জানিয়েছেন, আগে দুইবার সরোয়ারকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন বেঁচে গেলেও তৃতীয়বারে খুনিরা সফল হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী চালিতাতলী এলাকার খন্দকীয়া পাড়ায় বিএনপি প্রার্থী এরশার উল্লাহর গণসংযোগে গুলিতে খুন হয় সরোয়ার হোসেন বাবলা। তিনি নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।

সরোয়ারকে যখন খুন করা হয়, তখন তার কয়েক গজ দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা আব্দুল কাদের।

বুধবার রাতে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সরোয়ারের বাবা আব্দুল কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরশাদ উল্লাহসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ইজ্জত উল্লাহ শাহ মসজিদে নামাজ পড়েছিলেন। বের হওয়ার পর সরোয়ার বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহকে হাত ধরে দোকানগুলোতে নিয়ে যায় লিফলেট বিতরণ করতে।

যে দোকানের সামনে সরোয়ার খুন হন, তার কয়েক গজ দূরে কাদের দাঁড়িয়ে ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, “আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সরোয়ার আছে, তাই আমি এরশাদ উল্লাহর সামনে যাইনি। এসময় হঠাৎ ঠাস ঠাস কয়েকটি গুলির শব্দ।

“এসময় সবাই দিগ্‌বিদিক দৌড়ে চলে যাচ্ছিল, আর সাদা কাপড় পড়া একজন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।”

কান্না জড়িত কণ্ঠে আব্দুল কাদের বলেন, “আজ সরোয়ার সাদা গেঞ্জি, সাদা প্যান্ট পরেছিল। আমার মনে হয়েছে সরোয়ার; আমি দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরি। একটি অটোরিকশা নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা করি। পথিমধ্যে সিএনজি অটো রিকশায় উঠি।”

 

নিজের লুঙ্গি ও পাঞ্জাবিতে রক্তের দাগ দেখিয়ে তিনি বলতে থাকেন, “আমার ছেলে আমার কোলে উপুড় করে ছিল। তাকে তার বুকের পাশাপাশি মুখ দিয়েও রক্ত ঝড়ছিল।

“অটোরিকশা, সিএনজি অটো রিকশায় রক্ত জমে আছে। আমি তখনই বুঝেছি আমার ছেলে আর নেই।”

এদিকে গণসংযোগে গুলির দৃশ্যর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ নেতাকমীদের নিয়ে লিফলেট বিলি করছেন দোকানে। তার পেছনে দাঁড়ানো সাদা গেঞ্জি পরিহিত সরোয়ার।

এ সময় হঠাৎ এক যুবক কর্মীদের ভিড়ে ঢুকে খুব কাছ থেকে সরোয়ারের ঘাড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এক নাগাড়ে সাত থেকে আটটি গুলি করা হয়।

এভারকেয়ার হাসপাতালে সরোয়ারের ছোট ভাই আজিজ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের দুই ভাইকে খুন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে আসছিল একটিপক্ষ। সে পক্ষটিই সরোয়ারকে গুলি করেছে।

“যারা এসেছিল তারা গণসংযোগকারীদের সাথে মিশে গিয়েছিল। আর কিছু দূরে ছিল। সামনাসামনি তারা গুলি ছোড়ে। সাত-আট রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে।”

আজিজের দাবি, বিভিন্ন সময়ে হুমকি পেয়ে তারা সবসময় সাবধানে চলাফেরা করতেন।

“আজ এমপির জনসংযোগ, সেজন্য আমরা কোনো ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করিনি।”

বাবা আব্দুল কাদেরও বলছেন, তার ছেলে সরোয়ার বিভিন্ন সময়ে হুমকি পেয়ে আসছিল।

 

 

তিনি বলেন, “পুলিশ, আইনজীবীসহ বিভিন্নজন বিভিন্ন সময়ে সরোয়ারকে সতর্ক থাকতে বলতেন। তার সাথে সবসময় কয়েকজন থাকে। কিন্তু আজকে জনসংযোগের কারণে তাদের চলে যেতে বলেছিল সরোয়ার।”

কারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে? সরোয়ারের বাবা কাদের ও ভাই আজিজ দুজনই রায়হান নামের একজনকে দায়ী করেন।

সেই সঙ্গে তারা আরো কয়েকজনের নাম বলেন, যারা কারাবন্দি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদের অনুসারী।

আব্দুল কাদের বলেন, “বিভিন্ন সময়ে রায়হান ফোনে সরোয়ারকে খুনের হুমকি দিত। এজন্য আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলাম।”

তৃতীয় বারে ‘সফল’ খুনিরা

হাসপাতালে সরোয়ারের মেঝ ভাই আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, “এর আগেও দুই বার সরোয়ারকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সে প্রাণে বেঁচে যায়। তৃতীয় বারে সে খুন হলো।”

চলতি বছরের ৩০ মার্চ চকবাজার থানার চন্দনপুরা এলাকায় প্রাইভেট কারকে ধাওয়া করে গুলি করা হয়। চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন সরোয়ার। সেদিন গুলিতে মারা যান বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ।

ওই ঘটনায় ‘মূল টার্গেট’ সরোয়ার সেদিন কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।

সেদিন নিহত আবদুল্লাহর মা রাশেদা বেগম জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনার কয়েক মাস আগে তার ছেলের পায়ে গুলি করেছিল ‘সাজ্জাদের অনুসারীরা’। তখনও সরোয়ারকে ‘বাঁচাতে গিয়ে’ আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন।

 

এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি

সরোয়ারকে যে দোকানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তার পাশের গলিতেই তার বাসা। রাতে বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তার কয়েকজন স্বজন সেখানে বসে আছে। কয়েকজন নারী কান্না করছেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়। একটি ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ। স্থানীয় লোকজন ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছেন না। তাদের মধ্যে এ ধরনের চাপা আতঙ্ক।

ঘটনাস্থলে পিবিআই’র সদ্যরা আলামত সংগ্রহ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় রাত ১২টা সাড়ে ১২টা পযর্ন্ত দোকান খোলা থাকে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় এক যুবক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইজ্জত উল্লাহ শাহ মসজিদে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নামাজ পড়েছিলেন এরশাদ উল্লাহ।

প্রথম কাতারে এরশাদ উল্লাহ, আর তৃতীয় কাতারে ছিলেন সরোয়ার। মসজিদের দুই তলায় সবাই নামাজ পড়ে নেমে দোকানে লিফলেট বিলি করেন এরশাদ উল্লাহ। কয়েকটি দোকান লিফলেট বিতরণের পরপরই গুলির শব্দ শোনা যায়।

ইজ্জত উল্লাহ মসজিদের সামনেই বড় পুকুর। সামনে এক লাইনে ছয়টি দোকান। শেষ দোকানটিতে লিফলেট বিতরণের সময় সরোয়ারকে গুলি করে খুন করা হয়।

ওই দোকানের উপরে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর তরফে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সরোয়ারের ব্যানার লাগানো।

‘সরোয়ারই ছিলেন নিশানায়’

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ এভারকেয়ার হাসপাতালে বুধবার রাতে বলেন, “এ ঘটনা কারা ঘটাতে পারে, আমাদের প্রাথমিক অনুমান আছে। এটার মামলা হবে, তদন্ত হবে। প্রাথমিকভাবে কিছু অনুমান করেছি, কারা করেছে ঘটনাটা।

“তাৎক্ষণিকভাবে যেটা বলব, এরশাদ উল্লাহ টার্গেট ছিলেন না; সরোয়ার বাবলা টার্গেট ছিলেন। কারণ আমরা যেটা শুনলাম, গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।”

কে এই সরোয়ার?

চট্টগ্রামে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রায় দেড় দশক আগে আলোচনায় আসে সরোয়ার হোসন বাবলা ও তার বন্ধু নুরুন্নবী ম্যাক্সনের নাম। সে সময় তারা পরিচিত ছিলেন চট্টগ্রামে আট ছাত্রলীগ নেতা খুনের অন্যতম আসামি সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে।

চালিতাতলী এলাকার আব্দুল গণি কন্ট্রাক্টরের ছেলে সাজ্জাদের নাম আলোচনায় আসে গত শতকের ৯০’র দশকের শেষ দিকে। তখন ইসলামী ছাত্র শিবিরের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত এই যুবক খুনসহ অনেক মামলার আসামি হন।

২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রামে আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হত্যায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ড পেয়েছিলেন সাজ্জাদ। পরে উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় খালাস পান। এক সময়ের ‘শিবির ক্যাডার’ সাজ্জাদকে ধরতে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিস’ এখনও ঝুলছে।

এই সাজ্জাদের সঙ্গে চলার পথে বিরোধ দেখা দিলে আলাদা দল গড়েন সরোয়ার। তখন সাজ্জাদের ডান হাত হয়ে ওঠেন ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতি সাজ্জাদ।

 

 

 

২০১১ সালের জুলাইয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ম্যাক্সন। তার দেওয়া তথ্যে চট্টগ্রামের বায়েজীদ এলাকা থেকে সরোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

তখন সরোয়ার-ম্যাক্সনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি একে-৪৭ রাইফেল, দুটি পিস্তল, একটি এলজি, একে-৪৭ রাইফেলের দুটি ম্যাগাজিন ও গুলি।

২০১৭ সালে কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে কাতারে চলে গিয়েছিলেন সরোয়ার ও ম্যাক্সন। সেখানে বসেই তারা দেশে চাঁদাবাজি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।

প্রায় তিন বছর কাতারে ছিলেন সরোয়ার। সেখানে মারামারির এক ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করে এক মাসের সাজা দেয়। সাজা শেষে সরোয়ারকে তারা দেশে পাঠিয়ে দিলে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিমানবন্দরে পুলিশ তাকে আটক করে।

তাকে চট্টগ্রামে এনে পরদিন ভোরে খন্দকীয়া পাড়ায় সরোয়ারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলিসহ একটি একে-২২ রাইফেল, চার রাউন্ড গুলিসহ একটি এলজি উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।

প্রায় চার বছর কারাগারে থেকে জামিনে বের হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২৭ জুলাই সরোয়ারকে ফের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি জামিনে ছাড়া পান।

সরোয়ার ও ছোট সাজ্জাদের পুরনো দ্বন্দ্ব

বায়েজীদ, চান্দগাঁও এলাকার একটি বড় অংশে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময়ে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ারের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ ও সংঘর্ষের খবর শোনা যায়। বড় সাজ্জাদের হয়ে ছোট সাজ্জাদ এবং সরোয়ার নিজেই তার অনুসারীদের দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন।

গত বছরের ২১ অক্টোবর বিকালে চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া এলাকায় দোকানে বসে চা পানের সময় তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে কালো রঙের একটি গাড়িতে করে আসা লোকজন। সে ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ছোট সাজ্জাদ।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা শপিং মল থেকে গ্রেপ্তার হন ছোট সাজ্জাদ। এর পেছনে সরোয়ারের অনুসারীদের হাত ছিল বলে সাজ্জাদের পক্ষের লোকজনের সন্দেহ।

কেন এ দ্বন্দ্ব?

বায়েজীদ এলাকায় চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে সরোয়ারের সাথে ছোট সাজ্জাদের দ্বন্দ্ব। আর ছোট সাজ্জাদ বাহিনীকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ওরফে বড় সাজ্জাদ।

সরোয়ারের মেঝ ভাই আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন বারবার সরোয়ারকে নিশানা করা হচ্ছিল?

এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, “অনেক বিষয় জড়িত আছে। যদি সাহস করে লিখতে পারবেন বলেন, তাহলে বাসায় আসবেন, সব বলব।”

সরোয়ারের বাবা কাদেরের দাবি, ব্যবসার দখল নিতে তার ছেলেকে খুন করার টাগেট করা হয়।

তার ভাষ্য, সরোয়ার ইট, বালি, লোহার ব্যবসা করেন। পাশাপাশি মাটি ভরাটের কাজও করেন। বড় সাজ্জাদ ও ছোট সাজ্জাদ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এ কারণে সরোয়ারকে খুন করা হয়েছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বড় সাজ্জাদের হাত ধরে সরোয়ারের উত্থান হলেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আলাদা পক্ষ গড়ে তোলে সরোয়ার। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল বড় সাজ্জাদ, যার কারণে তার অনুসারী ছোট সাজ্জাদকে দিয়ে সরোয়ারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখত।

বিদেশে পালিয়ে থাকা বড় সাজ্জাদের হয়ে এখন এলাকায় ‘ত্রাসের রাজত্ব’ চালাচ্ছে ছোট সাজ্জাদ বাহিনী।

কয়েকটি স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র বলছে, বছর কয়েক ধরে বায়েজীদ এলাকা ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকা এবং জেলার রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন স্থানে ‘রাজত্ব তৈরিতে’ অনুসারী গড়ে তুলেছেন বিদেশে অবস্থানরত বড় সাজ্জাদ। পাশাপাশি বালুর মহালও নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু সেসব স্থানে বড় সাজ্জাদের অনুসারীদের চাঁদা নিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সরোয়ার। তা নিয়েও মনক্ষুণ্ন বড় সাজ্জাদ।

আবার বিভিন্ন এলাকায় বড় সাজ্জাদের হয়ে চাঁদা না পেয়ে গুলি বর্ষণের যেসব ঘটনা সাজ্জাদ অনুসারীরা ঘটিয়েছেন, তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন। সাজ্জাদের ধারণা, সেগুলো সরোয়ার করতেন।

পাশাপাশি বায়েজিদ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন ও টেম্পু স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজিতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় সরোয়ার।

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজও বুধবার হাসপাতালে সন্দেহ প্রকাশ করেন, এ খুনে বিদেশ থেকে ইন্ধন থাকতে পারে।