২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু করা হয়। তার পরের বছর থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হয়। তৎকালীন সরকার নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার মতো বিভাগ বিভাজন না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেয়। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা–২০২১’ থেকে সরে আসে। এরপর ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে গিয়ে বিভাগভিত্তিক শিক্ষা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পাঠ্যসূচিও প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এর পরপরই জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হবে ফরম পূরণের কার্যক্রম। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সব বোর্ডের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একযোগে ফরম পূরণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে তারা।
বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দেবেন। অন্যদিকে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস অনুযায়ী অংশগ্রহণ করবেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও প্রকাশিত পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুসারেই ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য হবে ২০২৫ সালের পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি।