
ফ্যাসিবাদের অবসানকারী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি সমুন্নত রাখতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রবর্তিত “জুলাই শহিদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়” প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা ৩ জন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন। এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন শহীদ শিক্ষার্থীসহ যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শহীদদের অসামান্য দেশপ্রেম, প্রতিবাদী চেতনা এবং আত্মোৎসর্গ দেশের ইতিহাসে এক অবস্মরণীয় অধ্যায় রচনা করেছে। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এবং তাদের জীবনাদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বৃত্তি শিক্ষাক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করে দেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, প্রান্তিক, সুবিধাবঞ্চিত অথচ মেধাবী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করবে। প্রথমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/প্রতিষ্ঠানসমূহে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আবেদনকৃত ৭২৫টি কলেজের মোট ২০২৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে এই মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবছর এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বছরে এককালীন ৬ হাজার টাকা পাবেন।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।