
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আইন বিভাগে এক শিক্ষককে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের কর্মকাণ্ড ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আগাম তথ্য ছিল না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অভিযোগ উঠেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা ওই শিক্ষক ছাত্রজীবনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিনি। নাম মৌমিতা রহমান ঈপ্সিতা। আইন বিভাগের ৪৫ ব্যাচের ওই ছাত্রী পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বাবা আওয়ামী লীগের ব্যানারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিইউপির অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (জেনারেল) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) কর্তৃক সম্প্রতি আইন বিভাগের প্রভাষক পদে একজন শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব মানহানিকর, উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপব্যাখ্যা ও অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে - তা ভিত্তিহীন এবং খুবই দুঃখজনক। বিইউপি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন, ইউজিসির নীতিমালা, বিধি-বিধান এবং বিইউপির নিয়োগবিধি অনুসরণ করে মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনা করতঃ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করে।
এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে কয়েকটি বোর্ড বা কমিটি কর্তৃক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। অতঃপর সিলেকশন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট উক্ত নিয়োগ অনুমোদন করে। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর নিয়োগ স্থায়ী হওয়ার পূর্বে দুই বছরের জন্য শিক্ষানবিশি হিসেবে কর্মরত থাকতে হয়। উক্ত সময়ের মধ্যে প্রযোজ্য বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণগত, আইনগত ও নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification) সম্পন্ন করা হয়। এ ধাপটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থায়ীভাবে কার্যকর হয় না।
আলোচিত শিক্ষকের কর্মকাণ্ড ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কিত যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো আগাম তথ্য বিইউপির নিকট ছিল না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উক্ত অভিযোগ বিইউপির দৃষ্টিগোচরে আসার পর বিষয়টি আমলে নিয়ে ইতোমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছে। তদন্ত কমিটির অভিমতের পরিপ্রেক্ষিতে, বিইউপির প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার নিমিত্তে বিইউপির সংশ্লিষ্ট ডিন সম্পর্কে মানহানিকর, অবান্তর ও অপব্যাখ্যাসহ নানারূপ আক্রমণমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে, যা খুবই দুঃখজনক। সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) সর্বদা মেধা, যোগ্যতা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।