Image description

ভর্তিযুদ্ধে একের পর এক অসাধারণ সাফল্য দেখিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনার শীর্ষে নুবাহ সিদ্দিকা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়ে চমক দেখিয়েছেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও (রাবি) অংশ নেন নুবাহ। সবার মনে প্রশ্ন ছিল—এই পরীক্ষাতেও কি শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি? প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মানবিক ইউনিটে নুবাহ সিদ্দিকার অবস্থান ৪র্থ।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘বি’ ইউনিট (কলা অনুষদ) সর্বোচ্চ নম্বর ৯২ পেয়ে প্রথম হয়েছিলেন নুবাহ। সকল শিফটের মধ্যে তার নম্বর সর্বোচ্চ।  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘সি’ ইউনিটের ২য় শিফটেও ১ম স্থান অর্জন করেন তিনি। এছাড়াও ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে দ্বিতীয় স্থান ও কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মানবিক থেকে ১৫ তম স্থান অর্জন করেন তিনি।

জানা গেছে, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ছাত্রী ছিলেন নুবাহ সিদ্দিকা। কলেজটি থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন তিনি। পিতা আশিকুল ইসলাম ও মাতা খাইরুন্নেছা বেগমের বড় সন্তান নুবাহ। গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার গরিপুরে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল প্রকাশের পর অনুভূতি জানিয়ে নুবাহ সিদ্দিকা বলেন, আজ সকাল ১১টা থেকেই আমি রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। পরবর্তীতে জানতে পারি প্রথম স্থান অধিকার করেছি। অনুভূতিটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই। সেখানেও আমার লক্ষ্য থাকবে প্রথম হওয়া। 

কোথায় ভর্তি হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে এর আগে তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি হব। আমি আইন বিভাগে পড়াশোনা করতে চাই। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি শেষ করে পরবর্তীতে বিচারপতি হতে চাই। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণাতেই তার এ সাফল্য বলে জানান নুবাহ।  

এদিন বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে বিজ্ঞান শাখা থেকে ৪৯৩ জন এবং মানবিক থেকে ১৪২জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে আগামী শনিবারের (১৯ এপ্রিল) মধ্যে বিস্তারিত ও বিষয় পছন্দক্রম ফরম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পূরণ করতে হবে। কোটায় আসন পূরণ না হলে মূল মেধা তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করা হবে।