সুদানের উত্তর দারফুর একটি ব্যস্ত বাজারে ড্রোন হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো। তবে, কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে হামলাটি পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
উত্তর দারফুর ইমার্জেন্সি রুমস কাউন্সিল জানায়, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত মালহা শহরের আল-হাররা বাজারে ড্রোন হামলা হয়। এতে ১০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি দোকানপাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং বড় ধরনের সম্পদহানি ঘটে। তবে, কে হামলা চালিয়েছে, তা উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
এ বিষয়ে সুদানের সেনাবাহিনী বা প্যারামিলিটারি গ্রুপ আরএসএফের পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এদিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায়ও সংঘর্ষ বেড়ে চলেছে।
রোববার নিরাপত্তাজনিত কারণে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো দক্ষিণ কর্দোফানের অবরুদ্ধ। দুর্ভিক্ষকবলিত কাদুগলো শহর থেকে তাদের কর্মীদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। কাদুগলিতে গত সপ্তাহেই সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকা ত্যাগ করার সময় ড্রোন হামলায় আটজন নিহত হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সংঘাতে এখন পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ বলছে, এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুত ও ক্ষুধা সংকট।
সংঘাতের সর্বশেষ কেন্দ্র এখন দক্ষিণ কর্দোফান। কাদুগলি ও নিকটবর্তী ডিলিং শহর দুইটিই আরএসএফের অবরোধে রয়েছে। গত সপ্তাহে আরএসএফ ব্রনো এলাকায় দখল নেয়, যা কাদুগলি-ডিলিং সড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা লাইন।
সূত্র: আরব নিউজ