Image description

ভূমিকম্পের আতঙ্ক যেন কাটছেই না। নরসিংদীর ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই, আজ শনিবার সকালে গাজীপুরের বাইপাইলে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল তিন দশমিক তিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় কম্পনের পূর্বাভাস দিচ্ছে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মতে, দেশে যেকোনো সময় ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই ভূমিকম্প হলে তাৎক্ষণিক কী করতে হবে; তা আগেই ভেবে রাখুন। 

হঠাৎ ভূমিকম্প হলে কী করবেন 

•    ভূমিকম্প টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিন। যদি আপনি নিচ তলা বা দ্বিতীয় তলায় থাকেন, তাহলে কম্পন শুরু হলেই দরজা খুলে রাখুন। কেননা পরে দরজা জ্যাম হলে বের হতে পারবেন না। ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যে সিঁড়ি দিয়ে নেমে রাস্তায় চলে যান। কিন্তু বিল্ডিং-এর গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না। অন্তত ১০০ ফুট দূরে সরে যেতে হবে। ভবন ছেড়ে খোলা মাঠে চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। 

•    উঁচু ভবনে থাকলে বের হতে না পারলে শক্ত কোনো খাম্বার নিচে অবস্থান নিন। বেডরুমে থাকলে খাটের নিচে, লিভিং বা ডাইনিং-এ থাকলে মজবুত টেবিলের নিচে অবস্থান নিন। কোনো আশ্রয় না পেলে দেয়ালের কোণে বসে মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখুন। প্রয়োজনে হেলমেট, বালতি, বালিশ বা নরম কাপড়ের স্তুপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।  

•    মানসিকভাব অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুন। গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে দূরে অবস্থান নিন।

•    ভূমিকম্পের সময় গাড়িতে থাকলে ফাঁকা স্থান বেছে নিন এবং গাড়িতেই থাকুন।

•    মুঠোফোনে ফায়ার সার্ভিস ও দরকারি মোবাইল নম্বরগুলো আগে থেকেই রেখে দিন।

•    একবার ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটি ছোট ভূমিকম্প হয় যাকে বলে আফটার শক। এজন্য এর পরের কয়েক ঘণ্টা সতর্ক থাকুন ও নিরাপদ স্থান বেছে নিন। 

কী করবেন না 
•    দ্রুত নামার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়বেন না।
•    উঁচু ভবন থেকে দ্রুত নামতে লিফট ব্যবহার করবেন না।
•    বহুতল ভবন থেকে নামতে গিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না। 
•    বারান্দায় অবস্থান করবেন না, রেলিং ভেঙে পড়তে পারে। 

ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়লে 
•    শরীরের কোনো অংশ বিম, দেয়াল, কংক্রিটের ছাদ ইত্যাদির মধ্যে চাপা পড়লে, ধীরে ধীরে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। যদি বের হওয়ার সুযোগ না থাকে তাহলে বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। তাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। 

•    ম্যাচ জ্বালাবেন না। দালান ধসে পড়লে গ্যাস লিক হয়ে থাকতে পারে।

•    চিৎকার করা যাবে না। কারণ, চিৎকারের সময় মুখে ক্ষতিকর ধুলাবালি ঢুকে যেতে পারে। পাইপে বা দেয়ালে বাড়ি দিয়ে বা মুখে শিস বাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন। সঙ্গে মোবাইল থাকলে টর্চ জ্বালিয়ে রাখুন।