সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা হত্যাচেষ্টা ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তারের ঘণ্টা কয়েক পরে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামিন পেয়েছেন।
শনিবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান তার জামিনের আদেশ দেন।
হিরো আলমের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা তার মক্কেলের জামিন পাওয়ার তথ্য দেন।
এদিন দুপুরে হাতিরঝিলের উলন এলাকায় হিরো আলমের অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা বলেছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার ইবনে মিজান।
তিনি বলেন, স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা একটি মারামারির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান গত ১২ নভেম্বর ওই পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় বলা হয়, মনোমালিন্য থেকে স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন হিরো আলম। এরপর মীমাংসার কথা বলে গত ২১ জুন হাতিরঝিল এলাকায় এক বাসায় তাকে ডেকে নেন।
এজাহারে বলা হয়, ওইদিন রিয়া মনি তার পরিবার নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হিরো আলমসহ অচেনা ১০ থেকে ১২ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে রিয়া মনির হাতিরঝিলের বাসায় প্রবেশ করে তাকে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করে হিরোসহ ১০-১২ জন। এসময় রিয়া মনির গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন কৌশলে নিয়ে যায় আসামিরা।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় এ মামলা করেন রিয়া মনি। মামলা হওয়ার পরপর বগুড়ার ধুনটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন হিরো আলম।
২৭ জুন দুপুরে প্রথমে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে সেদিনই হিরো আলমকে দেখতে ঢাকা থেকে ছুটে যান রিয়া মনি।
হিরো আলমের পাশাপাশি তার ‘সহযোগী’ আহসান হাবিব সেলিমকে এ মামলায় আসামি করা হয়। তারা দুজনই জামিনে ছিলেন।
কিন্তু ঠিকমত আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় ‘জামিনের শর্ত ভঙ্গের কারণে’ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।