এখন থেকে আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাওয়া আদেশের বিপরীতে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন রপ্তানিকারকরা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার বা বি২বি২সি কাঠামো মডেল ব্যবহার করে এ রপ্তানি হবে। এ ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মগুলো কেবল মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করবে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রপ্তানিকারকদের বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনেদেনে অনুমোদিত (এডি) ব্যাংক শাখা এধরনের রপ্তানি কার্যক্রম করতে পারবে। যেখানে বিদেশী পণ্য গ্রহণকারী বা কনসাইনি চূড়ান্ত ক্রেতা নয় বরং মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে। উদাহরণ হিসেবে– আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, মার্কেটপ্লেস, সাবসিডিয়ারি অথবা তৃতীয় পক্ষের ওয়ারহাউজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই কাঠামোর আওতায় রপ্তানি করার জন্য রপ্তানিকারকদের বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা ওয়ার হাউজের নিবন্ধনের প্রামাণপত্র এডি ব্যাংকের কাছে দাখিল করতে হবে। বি২বি২সি কাঠামোতে সাধারণত প্রচলিত বিক্রয় চুক্তি থাকে না। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকরা প্রফর্মা ইনভয়েসের ভিত্তিতে রপ্তানি পণ্যের ন্যায্য মূল্য ঘোষণা করতে পারবেন। ওয়ার হাউজ বা অন্যান্য সেবা প্রদানকারী কনসাইনির নামে প্রস্তুতকৃত শিপিং ডকুমেন্টও এডি ব্যাংক গ্রহণ করতে পারবে।
রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে, এডি ব্যাংক স্বাভাবিক ব্যাংকিং চ্যানেল বা আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থও গ্রহণ করতে পারবে। যেহেতু প্ল্যাটফর্মভিত্তিক রপ্তানির অর্থপ্রাপ্তি ভিন্ন–ভিন্ন চ্যানেলের বিপরীতে এক সাথে আসতে পারে, এ ক্ষেত্রে এডি ব্যাংকগুলো ফার্স্ট-ইন, ফার্স্ট-আউট নীতিতে রপ্তানি আয় সমন্বয় তথা আগের চালানগুলো আগে সমন্বয় হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ সিদ্ধান্ত আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্স পরিচালনা সহজ করবে। বৈশ্বিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের জন্য বাড়তি বাজার সুবিধা দেবে। নতুন কাঠামোটি ডিজিটাল খুচরা বিক্রির আন্তর্জাতিক চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের অংশগ্রহণ আরও কার্যকরভাবে নিশ্চিত করে বহুমুখী রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।