Image description

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘এই সরকার কী পেরেছে কী পারেনি, সেই আলোচনার আগে যদি বলি তারা শ্রমিক হত্যা করেছে- কথাটা সত্য। শেখ হাসিনাও শ্রমিক হত্যা করতো। শেখ হাসিনা যেমন বিএনপির নেতাকর্মীকে খুন করেছে, এই সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে শ্রমিক হত্যা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের নেতা হত্যা হয়েছে।’

 

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

 

কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবি করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।’ 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের করা সংস্কার নিয়ে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার সংস্কারের প্রশ্নে খুবই করিতকর্মা, কিন্তু ছয় মাসের যে সংস্কার, সেই সম্বন্ধে দেশবাসী কিছুটা উদ্বিগ্ন, আমরাও উদ্বিগ্ন। তারা কী করেছে আমরা জানি না। তবে এতটুকু জানি বাজার এখনও ঠিক হয়নি। বাজারে যে আগুন জ্বলছিল, সে আগুন এখনও নেভেনি। সিন্ডিকেট এখনও ধরা সম্ভব হয়নি।’

 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘পেটে ভাত থাকতে হবে এবং বেকারদের কাজ থাকতে হবে। যদি মনে করেন, আপনাদের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়, তাহলে এই মুহূর্তে আনুষ্ঠানিকভাবে মিটিংয়ে বসে দিন-তারিখ ঠিক করে, যারা পারবে তাদের পথ সুগম করেন এবং নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে সংকট আরও বাড়তে থাকবে।’    

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্ররা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসার জন্য তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে। এর থেকে দুঃখজনক ঘটনা জাতির জন্য আর দ্বিতীয়টা হতে পারে না। আপনার বেতনের টাকা, আপনার উপদেষ্টাদের বেতনের টাকা যথাসময়ে যদি রাষ্ট্র পরিশোধ করতে পারে, সচিবদের বেতনের টাকা, পুলিশের বেতনের টাকা যদি রাষ্ট্র পরিশোধ করতে পারে, তাহলে আহতদের চিকিৎসার টাকা কেন পরিশোধ হয় না? চিকিৎসার জন্য তাদের বিক্ষোভ করতে হয় কেন? ’

 

নাগরিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি মো জসিম উদ্দিন কবির, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।