Image description
 

সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে রংপুর জেলা কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

পরে সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের ভেতর তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর গ্রান্ড হোটেলের দলীয় কার্যালয়ে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সবাই বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। রংপুর জেলা-মহানগর বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

এতে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন নবী ডন, কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসাসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় রংপুর-৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী সামসুজ্জামান সামু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশনেত্রীর এ মৃত্যুর ঘটনায় শুধু বিএনপির নয়, দেশ একজন অভিভাবক হারাল। তার উপস্থিতি দেশের জন্য খুব জরুরি ছিল। তিনি দেশের সব সংকটকালীন দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। তিনি কখনো কারো কাছে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে আপস করেননি। তাই তাকে দেশের মানুষ আপসহীন নেত্রীর উপাধি দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, জীবনের সব ঝুঁকি মোকাবিলা করে তাকে দেশ ছেড়ে যেতে কোনো সরকার বাধ্য করতে পারেনি। খালেদা জিয়া বলতেন, বাংলাদেশই তার একমাত্র ঠিকানা। তার মৃত্যুতে আমরা যেমন শোকাহত, দেশবাসীও শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছে। 

তার এ মত্যুতে শোক জানিয়েছেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী, রংপুরের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর থেকে প্রকাশিত ‘আমাদের প্রতিদিন’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহবুব রহমান, দৈনিক পরিবেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালেকুজ্জামান সালেক, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসিডেন্ট এমদাদুল হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।