চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থীরা।
এ আসনে জামায়াত-এনসিপিসহ ১১ দলীয় জোটের প্রার্থী এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক। তার বাবা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) এলডিপির সভাপতি।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এনসিপি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ হাসান আলী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বর্তমানে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ডা. শাহাদাৎ হোসেনও দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দুই প্রার্থীই জোটের সিদ্ধান্তের কারণে ওমর ফারুককে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ এ আসন থেকে বিএনপির হয়ে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি সরকারের আমলে তিনি মন্ত্রী ও একাধিক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে বিএনপি থেকে বের হয়ে তিনি এলডিপি গঠন করেন। ২০০৮ সালে এলডিপির হয়ে নির্বাচন করে তিনি আবারও এ আসনে জয় পান। এবার এ আসনে তার ছেলে ওমর ফারুক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জামায়াত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান তাদের নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটের সঙ্গে এনসিপি ও এলডিপির যোগ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার এবি পার্টিও এই জোটে যোগ দেয়।