রাজনৈতিক নৈতিকতা ও দলীয় শৃঙ্খলার চরম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে। গণঅধিকার পরিষদ থেকে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন গ্রহণ করলেও নির্ধারিত জামানত না দিয়েই তিনি দল ছেড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা আবু হানিফ।
আসিফ মাহমুদ আনুষ্ঠানিকভাবে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য যে জামানত জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা তিনি দেননি। এরপর কোনো ব্যাখ্যা, অব্যাহতি কিংবা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই অন্য দলে যোগ দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেন, এটি শুধু নিয়ম ভঙ্গ নয়, এটি রাজনৈতিক প্রতারণার শামিল। একটি দল থেকে মনোনয়ন নেওয়া মানে সেই দলের প্রতি দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া। সেই দায় এড়িয়ে অন্য দলে গিয়ে পদ গ্রহণ করা রাজনৈতিক ভদ্রতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
দলীয় সূত্র জানায়, আসিফ মাহমুদের এই আচরণ গণঅধিকার পরিষদের ভেতরে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীর মতে, এটি পরিকল্পিতভাবে মনোনয়নকে ‘ব্যবহার’ করে রাজনৈতিক দরকষাকষির একটি উদাহরণ। এ বিষয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে, যখন দেখা যায়—এনসিপিতে যোগ দেওয়ার পরপরই আসিফ মাহমুদকে দলের মুখপাত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মনোনয়ন নেওয়ার পর এমন দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন প্রশ্ন তোলে তার রাজনৈতিক সততা ও আদর্শিক অবস্থান নিয়ে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চ পরিষদ সদস্য আবু হানিফ শীর্ষনিউজ ডটকমকে বলেন, রাজনীতি যদি এভাবে ব্যক্তিগত সুবিধা ও পদ-পদবির খেলায় পরিণত হয়, তাহলে জনগণের আস্থা কোথায় থাকবে? এমনটি না করলেও তিনি (আসিফ মাহমুদ) পারতেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ন্যায় কাজ এটা। এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে বলে দলটির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
শীর্ষনিউজ