Image description
 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে উন্নয়নের নামে দীর্ঘদিন ধরে চলমান লুটপাট ও দুর্নীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির গাজীপুর জেলা আমির ও গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-সদরের একাংশ) সংসদীয় আসনের প্রার্থী ড. জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশে আধিপত্যবাদবিরোধী যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, সেই ঐক্যকে ধারণ করেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ইনসাফভিত্তিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তির পথ খুঁজে নিতে চায়।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তারা কেউই জাতিকে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। বিভিন্ন সময় সব রাজনৈতিক দলেই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দখলবাজির চিত্র দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ইতিহাসে এসব অপকর্মের কোনো নজির নেই।’

জামায়াত ইসলামী অতীতে কখনো এককভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় না গেলেও ক্ষমতার অংশীদার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যাবে না। এ দেশের মানুষ শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবিক পরিবেশে বসবাস করতে চায়। তারা সন্ত্রাস ও দখলমুক্ত একটি সুন্দর দেশ প্রত্যাশা করে।’

ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আগামীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে উন্নয়নের নামে যে হরিলুট হয়েছে, তা বন্ধ হবে। প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে এবং জনগণ মর্যাদার সঙ্গে তাদের অধিকার ফিরে পাবে ‘

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি ডা. জসিম উদ্দিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শ্রীপুর উপজেলা সভাপতি আবু রায়হান মেজবাহ, শ্রীপুর উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রহমানীসহ ১০ দলীয় জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে নির্বাচন অফিস প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল এবং পুরো প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।