Image description
 

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে লুনার পাশাপাশি তার ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াসও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তাহসীনা রুশদীর লুনা নিখোঁজ হওয়া বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। ইলিয়াস আলী এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।মা-ছেলে দুজনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্বনাথের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম রুবি বলেন, আমার অফিস থেকে এখন পর্যন্ত চার জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে তাহসীনা রুশদীর লুনা এবং আবরার ইলিয়াসও রয়েছেন। তারা ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
কেন মা-ছেলে দুজনই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন এ ব্যাপারে তাহসীনা রুশদীর লুনার সাথে মঙ্গলবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আর যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবরার ইলিয়াসের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আইনী জটিলতা এড়াতে মায়ের পাশাপাশি ছেলে আববরার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন । কোন কারণে লুনার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে আবরার নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।
২০১৮ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে তাহসিনা রুশদীর লুনা ও আবরার ইলিয়াস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।সেবারও বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো লুনাকে। তবে উচ্চ আদালত থেকে তার মনোনয়ন স্থগিত করায় লুনা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। পরে এই আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধিন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী করা হয় গণফরোমের মোকাব্বির খানকে। তিনি নির্বাচিতও হন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সিলেট-২ আসনের মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ এম ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়ার করা পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লুনার মনোনয়নপত্র স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
রিট আবেদনে ইয়াহহিয়া চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, ‘আরপিও অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পর সংসদ সদস্যপদে প্রার্থী হওয়ার বিধান রয়েছে। তাহসিনা রুশদীর লুনা ছয় মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদ থেকে অব্যাহতি নেন’।প্রসঙ্গত, লুনার স্বামী ও আবরারের বাবা এম ইলিয়াস আলী ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার ডিএসও এলাকা থেকে মধ্যরাতে তিনি ও তার গাড়িচালক আনসার আলী নিখোঁজ হন।