Image description

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য রাজধানীবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমর্থন করেন না।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য রাজধানীর একপাশে ৩০০ ফুট সড়কের সার্ভিস লেনে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় তিনি ছাড়া আর কেউ বক্তব্য দেবেন না। নেতাকর্মীদের কাঞ্চন ব্রিজ ব্যবহার করে যাতায়াতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে দেশে অবতরণ করবেন তারেক রহমান। এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। সংবর্ধনা শেষে এভারকেয়ারে মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন তারেক রহমান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে মেডিকেল টিম ও ৬ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল থাকবে। বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য হেল্প ডেস্ক রাখা হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে কিছু পার্কিং স্থান ও অভ্যর্থনা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর সেখান থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

বিশাল এ আয়োজন নিশ্চিদ্র ত্রুটিহীন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করবেন। এরপর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই যোদ্ধাদের দেখতে যাবেন। একই দিন তিনি শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন।