সরকারের ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আমাদের প্রত্যাশা ছিল যে, প্রফেসর ইউনূসের যে সরকার, সেই সরকার অন্তত এই কয়েকটা মাস তাদের যোগ্যতার পরিচয় দেবে এবং দক্ষতার সঙ্গে দেশকে পরিচালনা করবে।'
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায় ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে বিএনপির চারটি আসনে সমঝোতার কথাও জানান ফখরুল।
সিলেট-৫ আসনে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না এবং সারা দেশে অন্য কোনো আসনে জমিয়তে উলামায় ইসলামের প্রার্থী থাকবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বাংলাদেশ এখন একটা ট্রাজিশনাল পিরিয়ডে আছে। ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শাসন, যে শাসন আমাদের সমস্ত মূল্যবোধগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছিল। সেই ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে বেরিয়ে এসে আমরা এখন একটা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি এবং নির্বাচনের পরে একটা নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সংসদ, আমাদের দেশকে, জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমরা সবাই করছি। কিন্তু এর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে যে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি, মহল তারা এই ট্রাজিশনাল প্রসেসকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভয়ংকরভাবে চক্রান্ত করছে।'
বিএনপি মহাসচিব শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'আমি ধন্যবাদ জানাই যে তারা তাদের কথা রেখেছেন। ২৬ এর ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।'
'নির্বাচনের যে পরিবেশ তৈরি করার জন্য তাদের আরও সচেতন ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা দরকার, আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করা দরকার। এই বিষয়গুলোতে তারা আরও বেশি ফোকাস দেবেন, যেন অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই বিষয়গুলো দিকে লক্ষ্য রাখবেন, এটা আমরা আশা করি,' যোগ করেন ফখরুল।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, 'যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এবং দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর যাদের ত্যাগ, রক্ত এবং প্রতিবাদ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি তার মধ্যে জমিয়তে উলামায় ইসলাম বাংলাদেশ অন্যতম।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে বিএনপির পরিকল্পনা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন এই নেতা।