Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসানের কাছ থেকে তার পক্ষে স্বতন্ত্র পদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।

মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের টানা দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে দলের নির্দেশ অমান্য করে ২০২২ সালে সিটি নির্বাচনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতা সাক্কুকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

 
পরে ওই নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতের সঙ্গে পরাজয় বরণ করেন।

 

বর্তমানে তিনি কুমিল্লা-৬ নির্বাচনি এলাকায় তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এ ছাড়া কুমিল্লা-৬ (সদর ও সদর দক্ষিণ) আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মনিরুল হক চৌধুরীর বিভিন্ন গণসংযোগে সাক্কু ও তার সমর্থকদের অংশ নিতে দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে সাক্কুর পক্ষে আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মনিরুল হক সাক্কু সব সময় জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করেছেন, সেই লক্ষে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

 
নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এগিয়ে যাবেন।’

 

মনোনয়ন প্রসঙ্গে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে প্রার্থী থাকার বাধ্যবাধকতা না থাকাই আমার পক্ষে নেতাকর্মীরা সংগ্রহ করেছেন। তবে জমার দিন আমি নিজেই উপস্থিত থাকব।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুই বার সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলাম।

 
এখন সংসদের যাওয়ার ইচ্ছা। শেষ পর্যন্ত বিএনপি থেকে মনিরুল হক চৌধুরী যদি নির্বাচন করেন আমি সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব। কোন কারণে তিনি যদি এই আসন থেকে নির্বাচন না করেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।’

 

প্রসঙ্গত, মনিরুল হক সাক্কু ১৯৯৩ সালে কুমিল্লা জেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি বহাল ওই পদে বহাল ছিলেন।

 
এরই মধ্যে ২০০৩ সালে তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন।

 

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লার প্রথম সিটি করপোরেশন প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আফজল খানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে তিনি দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০২২ সালে দলের নির্দেশ অমান্য করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে ওই নির্বাচন এবং ২০২৪ সালে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিলেও দুইটি নির্বাচনেই সাক্কু পরাজিত হন।