Image description

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগে আজ হোটেল রেডিসন ব্লু'র গ্র্যান্ড বলরুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল বিএনপির মিডিয়া সেল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যায় যায় দিনের বর্ষিয়ান সম্পাদক শফিক রেহমন, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, দৈনিক মানবজমিন এর সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪ এর মালিক এ.কে আজাদ, দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশন ও বার্তা সংস্থার সিনিয়র সাংবাদিক। এই অনুষ্ঠানে আমিও দাওয়াতপ্রাপ্ত ছিলাম এবং গিয়েছিলাম। সবার শেষে বক্তব্য রেখেছেন শফিক রেহমান ভাই। তিনি সরকারের সমালোচনা বা দিক নির্দেশনার জন্য যেমন সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন, তেমনি পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অধিক বস্তুনিষ্ঠ এবং সতর্ক থাকার। একই সাথে তিনি সরকারের ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করতেও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ওয়ান ইলেভেনের ব্যাপারে বিশেষ করে ডেইলি স্টারের যে ভূমিকা এবং ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের যে ভুল-ত্রুটি ছিল সে ব্যাপারে তিনি একদম প্রকাশ্যে সমালোচনামূলক কথাবার্তা বলেছেন এবং মাহফুজ আনাম ভাই চলে গিয়েছিলেন বলে প্রথম আলোর সম্পাদক মতি ভাইকে এই কথাগুলো মাহফুজ ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান। শফিক ভাই বক্তব্য শেষ করে উনি ওনার চেয়ারে ফিরে আসার পর প্রথম আলোর সম্পাদক মতি ভাই উঠে গিয়ে শফিক ভাইয়ের সাথে কথা বলেন। আজকের আগে তারা দুজন এইরকমভাবে আর কখনো কথা বলেছেন কিনা তা আমার জানা নেই এবং মনে হয় এই ধরনের কথা তারা কখনো বলেননি। শফিক ভাই তার বক্তব্যে পরিষ্কার করে বলেন, দৈনিক প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার অফিসে যে হামলা হয়েছে সেটা ভালো কাজ হয়নি, সেটা মন্দ কাজ হয়েছে এবং তিনি তার সমালোচনা ও নিন্দা করেছেন।

আমার কাছে মনে হয়েছিল মতি ভাইয়ের সাথে শফিক ভাইয়ের যে এই আলাপের ক্ষণটা এটা একটা বিরল ঘটনা এবং বিরল সময়। যার কারণে ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছি- একটু দূর থেকে হলেও। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, জনাব তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের আগে আজকে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতাদের বা বিএনপির মিডিয়া সেলের মতবিনিময় সভা হলেও প্রকৃতপক্ষে এই সভাটা সাংবাদিকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের এই মুহূর্তের প্রথিতযশা সব সাংবাদিকের উপস্থিতি আজকে লক্ষ্য করা গেল। তবে সামান্য একটু অপূর্ণতা থেকে গেল আমার কাছে মনে হয়। সেটা হচ্ছে নিউ এইজ সম্পাদক নুরুল কবির ভাইয়ের অনুপস্থিতি। সম্ভবত তিনি তার বিশেষ কোন ব্যস্ততার কারণে আসেননি। এছাড়া আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ভাইও আসেননি। তিনি এলেও ভালো লাগতো। দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার দুই সিনিয়র ব্যক্তিত্ব সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং মাসুমুর রহমান খলিল ভাই আজকের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজুল ইসলাম