দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ইংরেজি দৈনিক নিউজ এজ সম্পাদক নুরুল কবিরের ওপর হামলা ও অপপ্রচারেরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নিন্দা জানিয়ে জামায়াত আমির লিখেছেন, স্বাধীন গণমাধ্যম রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা আমাদের সবাই মিলেই নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদের আমলে যেভাবে গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন হামলা করা হতো সেই সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না। একইসঙ্গে গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন। যেকোনো ধরনের ঘৃণামূলক প্রচারণা থেকে বিরত থাকুন।
ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্য সফরে থাকা শফিকুর রহমান লিখেছেন, শহীদ ওসমান হাদি আধিপত্যমুক্ত, স্বাধীন ও ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং শাহাদাত পর্যন্ত সেই সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সহিংসতার পথে নয়, বরং যুক্তি ও আদর্শের মাধ্যমে ইনসাফের লড়াইয়ে বিশ্বাসী ছিলেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শহীদ ওসমান হাদির রক্ত বিফলে যাবে না।
হাদির হত্যাকারীদের বিচার দাবি জানিয়ে জামায়াত আমির লিখেছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে ধৈর্য ও অবিচলতার সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারী কেউ যেন স্যাবোটাজের (অন্তর্ঘাত) মাধ্যমে এ আন্দোলনকে কলুষিত করতে না পারে, এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা সকলের কর্তব্য। বিদেশি হাইকমিশনের কার্যালয় এবং কালচারাল সেন্টারে ভাঙচুর আগুন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ময়মনসিংহের ভালুকায় একজন হিন্দুকে পিটিয়ে হত্যাকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে শফিকুর রহমান বলেছেন, বিচার নিজ হাতে তুলে নেওয়া ইসলামের শিক্ষা নয়। বাংলাদেশের মূলধারার সব ইসলামপন্থি দল ও সংগঠন নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী এবং কোনো অবস্থাতেই আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার পক্ষে নয়। পরিকল্পিত উপায়ে স্যাবোটাজ করার জন্যই কোনো পক্ষ এ কাজ করে থাকবে বলে আমাদের ধারণা।
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জামায়াত আমির। তিনি লিখেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে, হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।
এদিকে জামায়াত আমির পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, হাদির শাহাদাতে সৃষ্ট ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো পক্ষ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তা মেনে নেওয়া যায় না।