বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। সম্প্রতি ট্রাভেল পাস নেওয়ার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সেই ট্রাভেল পাস পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান।
জাইমা জারনাজ রহমান লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, বাবা আজ কিছুক্ষণ আগে ট্রাভেল ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছেন।’
এদিকে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আরও বেশি স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে আজকে পর্যন্ত প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, উনার শারীরিক অবস্থা আপনাদের দোয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতে গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল আছে। আজকেও উনার একটা ছোট প্রসিডিউর করা হয়েছে ওটিতে নিয়ে। অত্যন্ত সফলভাবে উনি সেটি গ্রহণ করতে পেরেছেন। অর্থাৎ প্রসিডিউরটা সুন্দরভাবে করা হয়েছে। সিসিইউতে যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ওখানে উনি আইসিইউর ব্যবস্থা সংবলিত কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান, শামীম ইসকান্দারসহ পরিবারের সবার পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। যেভাবে বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের অধীন দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসা উনি নিতে পারছেন। সেটি যাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনাকে অব্যাহত রাখার তৌফিক দান করেন। এখনকার যে অবস্থা আছে এই অবস্থা যাতে আরও সুস্থতার দিকে উনাকে নিয়ে যেতে পারেন সে দোয়া চাই।’
এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাহিদ বলেন, ‘এটুকুই বলব যে, উনি যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থার তুলনায় আজকে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সবার দোয়ায় মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসার পরিপ্রেক্ষিতে আগের চেয়ে স্থিতিশীল রয়েছেন। উনার সার্বিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই আপনাদের মাধ্যমে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছি, একটি বলেছি আলহামদুলিল্লাহ; দ্বিতীয়টি বলেছি যে, উনার শরীরের ওপর একটা প্রসিডিউর করা হয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে উনি গ্রহণ করতে পেরেছেন।’