রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পিত মবক্রেসিকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবিদুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
পোস্টে আবিদুল ইসলাম লেখেন, ‘হে তরুণ সমাজ! এই বাংলাদেশ আমার, আপনার। রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পিত মবক্রেসিকে অবশ্যই রুখে দিন। নিরুৎসাহিত করুন। অলরেডি পতিত স্বৈরাচার উল্লাস করছে। ওরা যা চাইছে গতরাতে তা-ই হইছে। এবার অন্তত অনুধাবন করুন।’
তিনি বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশিরা, সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখুন।’
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আজ জুম্মার নামাজের পর যে কোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাইবিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যে কোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ক্ষোভকে ব্যবহার করে কোনো হঠকারী গ্রুপ কোথাও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ অথবা কোনো নাশকাতমূলক কার্যক্রম যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে ভূমিকা পালন করুন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় জুমার পরে আমাদের শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। তার পরিবর্তে বিকেল ৪টায় বাংলামটর থেকে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজিত হবে। সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চত্বর ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হন। ডাকসুর নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগে এসে চলমান আন্দোলনে যুক্ত হয়।
আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমসহ জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে সন্ত্রাসীরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।