জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনের প্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের মুক্তির সনদ, আর ওসমান হাদী আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সিপাহসালার; তাই তার ওপর নৃশংস হামলার বিষয়টি দেশপ্রেমী জনতা কোনো ভাবেই বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না। আমরা রক্ত দেবো কিন্তু জুলাই দেবো না।
রোববার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিজয় সরণি মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার, বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রমমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান ও আতাউর রহমান সরকার, জামাল উদ্দিন প্রমূখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, দেশ ও জাতি এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কুচক্রীরা জুলাই বিপ্লবীদের বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। হামলা হওয়ার আগে থেকেই ওসমান হাদিকে ভারতীয় নম্বর থেকে বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো প্রেসনোটও দেয়নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ওসমান হাদি নয় বরং কুচক্রীরা একটি হিট লিষ্ট করে করে দেশে রক্ত বন্যা রয়ে দেওয়ার জন্য গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর হাতে অবৈধ অস্ত্রও রয়েছে। তাই এদের তালিকা ধরে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই বরং এরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাই এদের বিষয়ে কোনো প্রকার শৈথল্য প্রদর্শনের কোন সুযোগ নেই।
সমাবেশ শেষে মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফার্মগেটে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।