‘ধানের শীষ ১৭ বছর ছিল না, তাই উন্নয়ন হয়নি। এবার মূল্যায়নের সুযোগ এসেছে। মহিলা ভোটার বেশি কিন্তু তারা ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারে না। তাদের এই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শুধু বিলকিস আক্তারই নয়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আরো বেশ কয়েকজন নেত্রী মতবিনিময় সভায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগে করা মামলার আসামি। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তুমুল সমালোচনা চলছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ এলাকায় নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় সরওয়ার জামাল নিজাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার ৫৭ নম্বর আসামি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাজিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিলকি চৌধুরী, বারখাইন ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারা বেগম ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শারমিন হক সেপু মঞ্চে বসে আছেন। আর মঞ্চের নিচে বসে আছেন বিলকিস আক্তার।
এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বিএনপি কি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে? ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে মতবিনিময় করতে হবে? এ ছাড়া আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ। তারা বলেন, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করা এসব নেত্রীরা নির্বাচনের সময় বিএনপি প্রার্থীর সভায় কিভাবে অংশ নেয় এবং ভোট চায়?
আওয়ামী লীগ নেত্রী হয়ে বিএনপির প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন, এমন প্রশ্নে সাজিয়া সুলতানা বলেন, মহিলা ইউপি সদস্যের প্রতিনিধি হিসেবে দাওয়াত পেয়েছিলাম। সেখানে যেয়ে দেখি মতবিনিময় সভা। আমার মতো অন্য মহিলা ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিএনপি প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজামের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার বিশেষ সহকারী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আকতার নবী চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার নির্বাচিত মহিলা ইউপি সদস্যদের নিয়ে আমরা মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিলাম, ওখানে কে কোন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা জানি না। তবে এখানে কেউ জয় বাংলার স্লোগান দেয়নি। সরওয়ার জামাল নিজামের নির্দেশে ওই অনুষ্ঠান পরিচালনা আমি নিজেই করেছি।’