রাজধানী বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তিনি কোমায় চলে গেছেন। পরে জানা যায়, তিনি কোমা থেকে ফিরেছেন, তবে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। সন্ত্রাসীরা গুলি করার পর সেটি হাদির মাথায় গুলি ঢুকে বেরিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বুলেটের ‘অংশবিশেষ’ ওসমান হাদির ব্রেনে রয়ে গেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা হাদিকে হত্যা করতে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে এ খবর প্রচার হতেই সারা বাংলাদেশে তীব্র নিন্দা-সড়ক অবরোধ-মশাল মিছিল-প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলানিউজের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ জেলা-উপজেলা থেকে এ খবর জানিয়েছেন।
ঢাকা থেকে দূরের জেলা শহর, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, উপজেলা সদর—সবখানেই চলছে মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তীব্র স্লোগান। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘একজন হাদির ওপর হামলা মানে পুরো দেশের গণতন্ত্রের ওপর হামলা।’
শরীয়তপুর: মশাল মিছিলে উত্তাল রাত, ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ
শরীয়তপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিশাল মশাল মিছিল বের হয় সন্ধ্যার পর। মিছিল চৌরঙ্গীর মোড়ে এসে শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়ক ৩০ মিনিট অবরোধ করে। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা বলেন, তফসিল ঘোষণার পরদিনই হামলা ইন্টেরিম সরকারের চরম ব্যর্থতা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
তাদের দাবি, হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত। দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
রাজবাড়ী: প্রেসক্লাব থেকে রেলগেট—আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে মশাল মিছিল
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও জুলাইযোদ্ধাদের বিশাল মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি পান্না চত্বর ঘুরে এসে রেল গেইট শহীদ স্মৃতি চত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে এক সমাবেশে বক্তারা সরাসরি অভিযোগ করেন, এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। নির্বাচন বানচাল করতে চক্রান্ত চলছে। তারা অবিলম্বে এ ঘটনার তদন্ত করে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর: ছাত্রজনতার স্লোগানে কেঁপে ওঠে চকবাজার–তেমুহনী সড়ক
লক্ষ্মীপুরের বিক্ষোভে ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা যোগ দেন। শিবির নেতা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়নি, গুলিটি করা হয়েছে জুলাই শক্তিকে এবং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে।
ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতকর্মীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
কুড়িগ্রাম: মহাসড়কে আগুন—টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ
শহরের বিজয় স্তম্ভ থেকে বিশাল মিছিল শহর ঘুরে শাপলা চত্বরে গিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। মিছিলে বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক’, ‘হামলার বিচার চাই’ স্লোগান গর্জে ওঠে শহরজুড়ে। বিক্ষোভকারীরা কুড়িগ্রাম–রংপুর মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এনসিপি, জাতীয় যুব শক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় ছাত্র শক্তির নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওসমান হাদি শুধু একজন নেতা নন—তিনি তরুণ প্রজন্মের আইকন। তার মাথায় গুলি মানে সারা বাংলার ছাত্র–জনতার মাথায় গুলি করা। এই দেশে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। হাদির ক্ষতি হলে বাংলার মাঠে-ময়দানে নব্য ফ্যাসিবাদের বিচার হবে।
সমাবেশ শেষে ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মাদারীপুর: হাদির উপর হামলাকে ‘স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের চক্রান্ত’ আখ্যা
জেলা শহরের শকুনি লেকপাড়ের মুক্তমঞ্চে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে বের হন। মিছিলটি মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক ও লেকপাড় সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা সক্রিয় হয়েছে। তারা মনে করছে একজন হাদিকে আক্রমণ করলেই পথ পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ছাত্র-জনতা যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে, সেখানে একজন হাদি নিহত হলে লক্ষ হাদি জন্ম নেবে।
পরে তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে মাদারীপুরসহ সারাদেশে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।
সৈয়দপুরে সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের বিক্ষোভ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাত ৮টায় ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়কের সৃতি অম্লান চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সভা করে সংশ্লিষ্টরা।
শহীদ জিকরুল হক সড়কে বিক্ষোভকারীরা বলেন, সরকারকে উদ্দেশ করে বক্তারা বলেন, আইনের ওপর আমরা সবসময় ভরসা রেখেছি। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা রেখে চলেছি। কিন্তু আজ সেই আস্থারই নির্মম পরিণতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় হাদি ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ওসমান হাদি ভাইয়ের ওপর হামলা শুধু একজন মানুষের ওপর হামলা নয়, এটি জুলাইয়ের চেতনার ওপর হামলা। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে ছাত্র জনতা ও এই দেশের মানুষ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব। কিন্তু এই সরকার বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা এ ঘটনার নেপথ্যে পরিকল্পনাকারী তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
জামালপুর: দয়াময়ী মোড় থেকে বকুলতলা—ঘন রাতে উত্তাল বিক্ষোভ
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের দয়াময়ী মোড় থেকে বকুলতলা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে ছাত্র জনতাসহ ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ সংগঠন অংশ নেয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন- নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরে ওসমান হাদির ওপর এই হামলা ন্যাক্কারজনক। একটি চক্র নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: বাতেন খাঁর মোড়ে রাস্তায় আগুন
ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রশিবির ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় বাতেন খাঁর মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিক্ষোভও প্রদর্শন করে। তার আগে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শান্তিমোড়ে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়। জুলাই আন্দোলন, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও দোয়া
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদিক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে এসে শেষ হয়। এ সময় তারা অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন। আইনশৃঙ্খলবাহিনীকে অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদেরকে দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান। পরে ওসমান হাদির সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের কণ্ঠস্বর ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী রাজপথের সহযোদ্ধা ওসমান হাদিকে টার্গেট কিলিংয়ের চেষ্টার কঠোর প্রতিবাদ জানাই। আমরা বাংলাদেশপন্থি সবাই মিলে এই টার্গেট কিলিংয়ের ষড়যন্ত্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, ইন্টেরিমকে এর জন্য কঠোর জবাব দিতে হবে।
তারা বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমরা সব দল-মত নির্বিশেষে এক হয়ে বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়েছি সেটাকে প্রতিহত করতে ভারতীয় ইন্ধনে একটা গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর: সমাবেশ থেকে নিন্দা, ক্ষোভ; মিছিলে স্লোগান
রাতে শহরের বায়তুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মিছিল পূর্ব সমাবেশ হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে নির্বাচনী মাঠে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য ভয়াবহ হুমকি। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
পরে মিছিলটি বায়তুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভকারীরা স্লোগানের মাধ্যমে হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
খাগড়াছড়ি: ছাত্র–জনতার বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ি জেলার সর্বস্তরের ছাত্র জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় পৌর ঈদগাহ থেকে ছাত্র–জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এ সময় বক্তারা বলেন— গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানোর জন্য এই হামলা। দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, বিচার করতেই হবে। বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন।
মিছিলে বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থী, তরুণ কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ‘টার্গেট কিলিং’ আখ্যা, ব্যাপক বিক্ষোভ
বিপ্লবী ছাত্র-জনতা সন্ধ্যায় জেলা মসজিদ রোড প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এটি শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওসমান হাদির ওপর এ হামলা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। টার্গেট কিলিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। তারা ইন্টেরিম সরকারকে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।
সমাবেশে অংশ নেন এনসিপি, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন, ছাত্র শক্তির নেতাকর্মীরা।
কুমিল্লা: পূবালী চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ
পূবালী চত্বরে কুমিল্লা মহানগর ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে শিক্ষার্থী ও তরুণরা সমাবেশ ও মিছিল করে। অংশ নেয় ছাত্রশিবির, এবি পার্টি, এনসিপি, আপ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তারা ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন। সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। তারা বলেন, পরবর্তী কর্মসূচি আরও কঠোর হবে।
ঝালকাঠি: আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঝালকাঠি–বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধে বরিশাল ও খুলনাগামী রুটের দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে।
অবরোধকারীরা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের দাবি, হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।