Image description

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ কারিগরি ইনপুট প্রদানে যে পরিমাণ ‘মেস’ করে গেছে, তা চিন্তার বাইরে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ডিজাইনেই ন্যূনতম টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামোর বিবেচনা রাখা হয়নি। তিনি বলেন, এখন না বললে দায়িত্ব ছাড়ার পরে বললে বলবেন—আগে কেন বলেন নাই!

 

এ বিষয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কিছু ত্রুটি তিনি তুলে ধরেন—

১. ডিজাইনে টেলিকম ইনফ্রার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। ইনডোর কভারেজ নিশ্চিত করতে যেসব অবকাঠামো প্রয়োজন—ইনডোর বেজ স্টেশন, রেডিও বসানো, আরবিএস হোটেল, অ্যাক্টিভ ডাস, অ্যান্টেনা, মাউন্টিং পোল, রাউটার—এসবের জন্য প্রয়োজনীয় স্পেস এবং ইনফ্রা ডিজাইনে রাখা হয়নি। এখন এসব আউট অফ ডিজাইন হিসাবে বসাতে হবে। 

২. অপটিক্যাল ফাইবার লে করার জন্য কোনো ডাক্টও নেই। আইএসপি সেবাদাতাদের রাউটার স্থাপনের নির্ধারিত জায়গাও ডিজাইনে রাখা হয়নি। ফলে এগুলো বাইরে দিয়ে বা আনডিজাইগনেটেড স্পেস ব্যবহার করে স্থাপন করতে হবে। 

 

৩. বিমানবন্দর পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ডেটা সেন্টারের স্পেসও ডিজাইনে নেই। অথচ ইমিগ্রেশন সিস্টেম (অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম), চেক-ইন ডেস্কের সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার, ফায়ারওয়ালসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি সেটআপের জন্য এসব বিবেচনা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, বিদেশিদের ধরে এনে বাইরে থেকে চকচকে কিন্তু ভেতরে ফাঁপা একটি স্থাপনা বানানো হয়েছে। আজকের যুগে ডেটা সেন্টার ও ন্যূনতম টেলিকমিউনিকেশন কনসিডারেশন ছাড়া একটি এয়ারপোর্ট টার্মিনালের ডিজাইন ও ইমপ্লিমেন্টেশন হয়ে যেতে পারে—এটা কোনো ব্যাখ্যাতেই পড়ে না। কারিগরি দিক থেকে এটা মহাপাপ।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব অভিযোগ করেন, কমিউনিকেশন টেকনোলোজি বাদ দিয়ে তারা দেখতে সুন্দর একটি বাস টার্মিনাল ভবন বানিয়েছে! এটি সত্যিকারের লজ্জার বিষয়।