Image description
 

আসন্ন নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর সব সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের অধীন হয়ে যান, তাই কোনো বিশেষ দলের প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই এবং থাকা উচিতও নয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) খুলনা-৫ আসনের জিরোপয়েন্টে গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন,অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা জরুরি; এ দায়িত্ব প্রশাসনের। তবে চলমান আটটি রাজনৈতিক দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলনের লক্ষ্য বিশৃঙ্খলা নয় বরং সংঘাত ও রক্তপাত এড়িয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি ।

Kiswan

গণসংযোগের আগে ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া আল্লারদান ইট ভাটায় মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। ইটভাটা মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আবদুল লতিফ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যদি আগামী সংসদে ইসলামী দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব অর্ধেকের বেশি হয়, তবে কুরআনের বিধানের ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

তিনি জানান, নতুন সমন্বিত ইসলামী জোটের আটটি দল ৩০০ আসনে সমন্বিতভাবে একজন প্রার্থী দাঁড় করানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। ভোট ভাগ না করে যেখানে যে প্রার্থী জনপ্রিয়, সেখানে তাকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খুলনা-৫ আসন প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ২০০১ সালে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও ইসলামী জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখানকার প্রার্থী তিনি। তিনি বলেন, আমরা ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়, কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ভোট চাইছি। তাঁর দাবি, হিন্দু সম্প্রদায়েরও একটি অংশ কুরআনভিত্তিক শাসনকে নিরাপদ মনে করেন।

এ সময় তিনি দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চান এবং গণজোয়ার দেখে প্রতিপক্ষ হতবাক বলে মন্তব্য করেন। সকালে তিনি কাঁঠালতলা বাজার ও মঠবাড়ীয়া কওমি মাদরাসা এলাকায় জনসংযোগ করেন।