Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মনোনয়ন না পেয়ে এসকে শফিকুল ইসলাম শুভ নামে গণঅধিকার পরিষদের এক নেতা একাধিক টাকার বান্ডিল প্রদর্শন করেছেন। এরই মধ্যে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর তা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এসকে শফিকুল ইসলাম শুভ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এসকে শফিকুল ইসলাম টাকার বান্ডেলগুলো আলাদা আলাদা ভাগে সাজিয়ে রেখে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলছেন। ভিডিওতে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন প্রচারণার জন্য এই চার বান্ডেল দিলাম ব্যানার-ফেস্টুনের জন্য। আর এটি লাগাইবা শুধু মোটরসাইকেল বহরের জন্য। আর এটি রাখো নির্বাচনের দিন চা-সিগারেট খাওয়াইবার জন্য মানুষকে। এই ৭-৮ বান্ডেল যেগুলো আছে—এগুলো দিয়ে সকাল বেলা সিসা খাইবা, বইসা বইসা। আমি পায়া করব না, সমস্যা নাই, ফেল করব।

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমনভাবে টাকার বান্ডিল প্রদর্শন করাকে অনেকেই ‘অশোভন’, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন’ ও ‘অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে মন্তব্য করছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কালবেলার কাছে শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, তাকে নিয়ে ‘অযথা খোঁটা’ দেওয়া এবং ‘অর্থসম্পদ নেই’—এমন অভিযোগ ছড়ানোর প্রতিবাদ হিসেবেই তিনি ভিডিওটি পোস্ট করেছেন।

তার ভাষায়, কে নাকি গণঅধিকার পরিষদের আমার লিডারের কাছে বলেছে, আমার টাকা-পয়সা নেই, আমাকে কেন নমিনেশন বেবে। হয়তো বিরোধী দলের প্রার্থী এই কথা পৌঁছাইছে। তাহলে আমার টাকা-পয়সা নেই—এই শব্দ তারা কোথায় থেকে পেল? আমি ২টা কোম্পানির মালিক—এইডা কী তাদের জানার দরকার নেই? আমি সরকারকে যেই ট্যাক্সগুলো দিছি, এ টাকা দলের ফান্ডেও ছিল না।

তিনি আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে কালবেলাকে বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুরে প্রতিষ্ঠিত করেছি গণঅধিকার পরিষদ। সেই জায়গা থেকে আমাকে নিয়ে আলোচনা করলে ত আমার একটা ক্ষোভ থেকেই আসবে। এজন্যই এই টাকার বান্ডিল ফেসবুকে প্রদর্শন করা। আমার টাকা নেই—আয় দেখ, টাকা আছে কি বা নাই।’

মনোনয়ন প্রসঙ্গে এসকে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দলে নাকি খবর পাইছে আমার অর্থসম্পদ নেই, তাহলে আমি নির্বাচন করব কী করে? এজন্য তারা আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ভাবতেছে। টাকা আছে কি নেই তা বোঝতে হলে আসেন টেবিলে বসি।’