Image description

কমিটিতে পদ দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার সকালে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আছিফুল হক মজনু। এ সময় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে মজনু বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ আমাকে পদ দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন সময় প্রায় ১১ লাখ টাকা নিয়েছেন।

কিন্তু ২৯ নভেম্বর মনোহরপুর গ্রামের জাফর উল্লাকে সভাপতি করে ফেসবুকের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করেন তিনি। সারা দেশের মানুষ যখন বিএনপি চেয়ারপাসনের সুস্থতায় দোয়া করেন, তখন কমিটি ঘোষণা আমাদের জন্য লজ্জার।

তিনি আরো বলেন, আমি বারবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদকে বলেছিলাম ভোটের মাধ্যমে ইউনিয়ন সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত ৯ ওয়ার্ডের সুপার ফাইভ ও তৃণমূলদের মতামত নিয়ে ভোটের ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু ফয়েজ মোহাম্মদ বিষয়টি আমলে না নিয়ে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে কমিটি ঘোষণা করেছে।

গত ১৭ বছর নির্যাতনের শিকার হন দাবি করে তিনি বলেন, গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বহু নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জেলে যেতে হয়েছে আমাকে। এর বিনিময়ে কি পেলাম? পদ পেলাম না, টাকাও গেল। এমতাবস্থায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বাতিলসহ ফয়েজ মোহাম্মদকে বহিষ্কার ও তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফয়েজ মোহাম্মদ আমার দেশকে বলেন, এ বিষয় সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।