ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ টাইমস (Bangladesh Times) নামক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল নেতা মো. আবিদুল ইসলাম খান আবিদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই ডিজি করেছেন তিনি। পরে থানা থেকে পুলিশের এক সদস্যকে বিষয়টি তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আবিদুল ইসলাম খান থানায় এসে একটি জিডি করেছেন। সেখানে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেন। থানা থেকে এখন পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) সেটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
জিডিতে ছাত্রদল নেতা আবিদ উল্লেখ করেন, আজ বিকালে শাহবাগ থানাধীন ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে অবস্থানকালীন সময় ফেসবুকে দেখতে পাই Bangladesh Times নামক একটি পোর্টাল তাদের ফেসবুকের পেজে আমাকে উল্লেখ করে বিভ্রান্তিমূলক একটি পোস্ট দেয়। এই পোস্টে আমার ছবি ব্যবহার করে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর মায়েদকে উদ্দেশ্য করে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আশঙ্কা করছি এই ফেসবুক পেজ আমাকে এবং আমার সংগঠনকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্টের মাধ্যমে আমার ও আমার সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে ফেসবুক পেজ আমার ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আগেও একই রকমভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। এ অবস্থায়, বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।
জিডির পর আবিদ সাংবাদিকদের জানান, ডাকসু নির্বাচন থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে অনেক নোংরামি করা হয়েছে। আমরা এতদিন ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। বাকস্বাধীনতার ব্যাপারে আমরা আপোসহীন ছিলাম, সমালোচকদেরও সমালোচনা করার সুযোগ দিয়েছি।
‘‘কিন্তু যে কথা আমি ও মায়েদ বলিনি, তা আমাদের নামে চালিয়ে দেওয়ায় আমার ও সংগঠনের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি যখন এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিই, তখন অনেকে বাংলাদেশ টাইমস-এর বিরুদ্ধে মামলা করার কথা বলেন। তবে আমাদের ও সংগঠনের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা মামলা না করে সাধারণ ডায়েরি করছি।”