Image description

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। তাদের মতে, স্বাধীন বিচারব্যবস্থার এ রায়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ পেয়েছে।

ছাত্রশিবিরের নেতারা অভিযোগ করেন, অভ্যুত্থানকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতায় যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল, তার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন পলাতক শেখ হাসিনা। তারা দাবি করেন, এসব ঘটনায় ১৩৩ শিশুসহ হাজারো মানুষ নিহত হয়। রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপরও তারা জোর দেন।

সংগঠনটির মতে, শুধু জুলাইয়ের ঘটনা নয়—২০০৯ সালের পিলখানা হত্যা, আল্লামা সাঈদীর রায় পরবর্তী সহিংসতা, শাপলা চত্বরের ঘটনা, পল্টন ট্রাজেডি এবং গুম–খুন–বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ রোধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

ছাত্রশিবির নেতারা আরও বলেন, অতীতে কোনো স্বৈরশাসন জনগণের প্রতিরোধের মুখে টিকতে পারেনি; ভবিষ্যতেও ফ্যাসিবাদ কায়েমের যেকোনো প্রচেষ্টার একই পরিণতি হবে। পলাতক আসামিদের ইন্টারপোল ও আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

এ ছাড়া, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত পলাতক ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করে তারা বলেন, সহযোগিতা না মিললে দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এবং সেই দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।