নাটোরের লালপুরে সাহিদ আলী (২১) নামের ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকের পর হ্যান্ডকাপ খুলে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শনিবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিলমাড়িয়া স্টেডিয়ামে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাদা পোশাকে একজন পুলিশ সদস্য তার হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে দিচ্ছেন। এ সময় খেলার মাঠে ব্যাপক উত্তেজনা কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিলমাড়িয়া স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিলমাড়িয়া সুপার লীগের চতুর্থ ম্যাচের মধ্যকার বিরতির সময় সাদা পোশাকে পুলিশের কয়েক জন সদস্য সাহিদ আলী নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে। পুলিশ তাকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরালে উপস্থিত দলীয় নেতা কর্মীসহ মাঠে দর্শকের চাপের মুখে হ্যান্ডকাপ খুলে দিয়ে সাহিদ আলীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাহিদ লালপুর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনার সময় পুলিশের সদস্যরা সাহিদ আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু জানান, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।
এ ব্যাপারে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় তার ফেসবুক পোস্টে ছাত্রলীগ কর্মীকে হেনেস্তা ও নির্যাতন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে ভুলবশত তাকে ধরা হয়েছিল।’
মোবাইল ফোন নিয়ে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’